সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সুরমা নদীতে অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে গত ১৪ মার্চ সংর্ঘষের গঠনা ঘঠে।
এসময় জেলা আ,লীগের যুগ্ম সম্পাদক পৌর আবুল কালাম চৌধুরী ও তার আপন ছোট ভাই জেলা আ,লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও একজনের মৃতুর হয়।
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনবনতির হুমকি ও রক্তক্ষতি সংঘর্ষ আশঙ্কা বিদ্যমান থাকায় পুলিশের বিশেষ বিভাগের রিপোর্টের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদ শনিবার ৫জনের ৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছে।
লাইসেন্স বাতিল করা সংক্রান্ত নোটিশ শনিবার জেলা প্রশাসনের ওয়েব সাইটের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।
যাদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন, শাহীন আহমেদ চৌধুরী (ডিবিবিএল বন্দুক), জামাল আহমেদ চৌধুরী(এসবিবিএল বন্দুক, পর্তগালের তৈরি), শামীম আহমেদ চৌধুরী(শর্টগান), কামাল চৌধুরী(শর্টগান) ও আহমেদ শাখাওয়াত চৌধুরী সেলিম(শর্টগান, তুর্কির তৈরি) । তারা পাঁচ ভাই ছাতক পৌর শহরের বাগবাড়ি এলাকার আরজ মিয়া চৌধুরীর পুত্র।
তারা সবাই স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে তাদের আরেক ভাই ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়নি।
যাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় পুলিশের ওপর হামলা, হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য,গত ১৪ মার্চ সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীতে অবৈধ চাঁদা আদায় ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক পৌর আবুল কালাম চৌধুরী ও তার ছোট ভাই জেলা আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের সংঘর্ষে এক দরিদ্র ভ্যান চালক ও ছাতক থানার ওসিসহ শতাধিক আহত হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষই প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এ ঘটনায় ছাতক থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।