খবর৭১ঃ‘মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে কয়েকবার যৌতুক দিয়েছি। তবে বারবার যৌতুক চাওয়ায় আমরা দিতে রাজি হইনি। এ জন্যই ওরা আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।’
বুধবার সকালে সালথা উপজেলার চান্দাখোলা গ্রাম থেকে আরিফা বেগম (২১) এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের বাবা নুরুল ইসলাম শেখ এ কথা বলেন।
নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সালথা থানায় মামলা হয়েছে।
আরিফা বেগম একই গ্রামের শামীম মোল্যার স্ত্রী এবং মাঝারদিয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম শেখের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা গ্রামের মান্নান মোল্যার ছেলে শামীম মোল্যার সঙ্গে আরিফার বিয়ে হয়। এর পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই আরিফাকে মারপিট করত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাদের সংসারে একটি সাত মাস বয়সের কন্যাসন্তান রয়েছে।
আরিফার বাবা নুরুল ইসলাম শেখ বলেন, যৌতুকের দাবিতে মাঝেমধ্যেই ওরা আমার মেয়েকে মারধর করত। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে কয়েকবার যৌতুক দিয়েছি। তবে বারবার যৌতুক চাওয়ায় আমরা দিতে রাজি না হওয়ায়, মঙ্গলবার রাতে ওরা আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
আরিফার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
সালথা থানার এসআই স্বপন কুমার ঘোষ বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের ঘাড় ও বাম হাত মচকানোর চিহ্ন দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সালথা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।