বিনিয়োগ সীমা বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

0
351

খবর৭১ঃ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মোট মূলধনের ৫ শতাংশের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবে না।

একই সঙ্গে কোনো কোম্পানির মোট মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার কেনা যাবে না। একক মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এই সীমা ১৫ শতাংশের বেশি হবে না।

শেয়ারে বিনিয়োগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক নীতিমালায় এ শর্ত দেয়া হয়েছে। নীতিমালাটি রোববার সার্কুলার আকারে জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলো বিভিন্ন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই তাদের শেয়ার, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড এসব উপকরণে বিনিয়োগ করে।

এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আসার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। এসব উপকরণের বিপরীতে ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ে কোম্পানিগুলো তাদের অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন করে।

এ ক্ষেত্রে আগে কোনো নীতিমালা ছিল না। এখন নতুন নীতিমালা জারি করা হল। এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৬ মে অপর এক সার্কুলারে বলেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ডে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ শেয়ারে বিনিয়োগ সীমার বাইরে থাকবে।

আগে এসব বিনিয়োগ ওই সীমার মধ্যেই থাকত। এর ফলে ব্যাংকগুলোর এখন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে যেমন আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে, তেমনি তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানিতেও আরও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবে।

সার্কুলারে বলা হয়, তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার, ডিবেঞ্চার বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে ওই কোম্পানিতে ব্যাংকের পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এছাড়া বিনিয়োগ করা যাবে না।

প্রতি ইউনিটের শেয়ারের ক্রয়মূল্য কোম্পানির নিট সম্পদ মূল্যের ১১০ শতাংশের বেশি হবে না। কোনো কোম্পানির অগ্রাধিকারমূলক শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বড় অংকের ঋণ নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

এ নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি একক কোনো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারে না। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ আকারে এবং বাকি ১৫ শতাংশ পরোক্ষ আকারে বিনিয়োগ করতে পারে।

এসব শেয়ারের মেয়াদ ৫ বছরের বেশি হবে না। এগুলোর বিপরীতে বিনিয়োগের সুদ বা মুনাফার হার নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।

এতে বলা হয়, কেনা শেয়ার, ডিবেঞ্চার বা মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে সুদ বা মুনাফা পরিশোধিত না হলে সুদ বা মুনাফাসহ আসলের ওপর ২৫ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হবে।

দ্বিতীয় বছরও পরিশোধিত না হলে এর বিপরীতে আরও ২৫ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে। তিন বছর সুদ বা মুনাফা অপরিশোধিত থাকলে পুরো অর্থের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হবে।

এ ধরনের কোম্পানিকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের শেয়ারের বিপরীতে ব্যাংকের বিনিয়োগকে ঋণ হিসেবে রূপান্তর করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিআইবিতে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদন নেই এমন কোনো কোম্পানির শেয়ার, ডিবেঞ্চার বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না। এ ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের একটি ঝুঁকিপূর্ণ ফান্ড গঠন করতে হবে।

এসব উপকরণ বাজারে ছাড়তে যেসব প্রতিষ্ঠান ইস্যুয়ারের কাজ করবে তাদের আয়ের কমপক্ষে ৩ শতাংশ এ ফান্ডে জমা রাখতে হবে। ফান্ড পরিচালনা করবে একটি ট্রাস্টি বোর্ড।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here