খবর৭১ঃএইমাত্র ভূমিষ্ঠ হলো একটি কন্যাশিশু। পৃথিবীর টানে আর চোখে আলো পড়ায় চিৎকার দিয়ে কাঁদছে সে। চিকিৎসকরা খেয়াল করলেন তার মুখে সাদা দুটো জিনিস চকচক করছে।
অবাক হয়ে চিকিৎসকরা লক্ষ্য করলেন মায়ের গর্ভ থেকেই দুটো দাঁত নিয়ে জন্মেছে এ শিশু।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে।
সদ্যোজাত মেয়ের মুখের সামনের দিকে দুটি দাঁত দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন মা। অভিভাবকরাও অবাক ও কিছুটা চিন্তিত। বিষয়টিকে নানা কুসংস্কারের অংশ হিসাবে মনে করেন তারা।
এমনটি আগে কখনা দেখেননি বা শোনেননি তারা। যে কারণে ঘটনাটি ভারতীয় গণমাধ্যমেও চলে আসে।
এ বিষয়ে চিকিৎসকরা জানান, হ্যাঁ, এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে না। তবে এতে ঘাবড়াবার কিছু নেই। বিষয়টি অত ভুতুড়ে নয়।
তারা জানান, ভারতে প্রতি ৩০ হাজার নবজাতকের মধ্যে একজনের বেলায় এমন দাঁত দেখা যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোয়ালের বা নিচের মাড়ির দুই মধ্য দাঁতটি প্রকাশ পায়। সাধারণত মায়ের গর্ভে থাকাকালীন হরমোনের পরিবর্তনের ফলে সদ্যোজাত এমন দাঁত নিয়ে জন্মায়।
ছেলেশিশুর চেয়ে মেয়েশিশুর ক্ষেত্রে দাঁত নিয়ে জন্মানোর প্রবণতা বেশি বলে জানান তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সদ্যোজাত সেই শিশুর দাঁত দুটি অস্ত্রোপচার করে তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তারা জানিয়েছেন, এ দাঁত এই শিশুর জন্য অপ্রয়োজনীয়। জন্মকালীন বা নবজাতক বয়সে দাঁত থাকার কারণে শিশু ব্যথা পেতে পারে। তার খাবার গ্রহণে অসুবিধা হয়। বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় দাঁতের কামড় বা আঁচড়ে দুগ্ধদানকারী মা অস্বস্তি অনুভব করেন। আবার দাঁত যদি নড়বড়ে থাকে তবে তা হঠাৎ ছুটে গিয়ে শ্বাসনালিতে চলে যাওয়ার ভয় থাকে।
তা ছাড়া এমন অস্বাভাবিক দাঁত নিয়ে জন্মালে শিশুর জিভে আলসার হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞান জানায়, স্বাভাবিকের মতো দেখতে হলেও এ ধরনের দাঁতের ওপর হলুদ রঙের আচ্ছাদন থাকে। এসব দাঁত সাধারণভাবে মাড়ির সঙ্গে আলগাভাবে আটকে থাকে। অস্থি বা শেকড়মূল তত সুদৃঢ় হয় না।