খবর৭১ঃ জনপ্রিয়তা বাড়ছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল। গতবার দেশের ৩টি ভেন্যু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বসেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি এই টুর্নামেন্ট। প্রতিটি ভেন্যুতেই দর্শকদের বাড়তি উন্মাদনা ছিল। তাই এবার বিপিএল জনপ্রিয় করতে আরও উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাশাপাশি খুলনাতেও আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে।
এছাড়া ২০১৮ সালের বিপিএল হয়েছে ২০১৯ সালে। তবে এবার আর পেছাতে চাই আয়োজকরা। বিপিএলের ষষ্ঠ আসর বসেছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে। এবার ডিসেম্বরে বসবে সপ্তম আসরের টুর্নামেন্ট।
দীর্ঘদিন ধরেই এ পরিকল্পনা করে আসছিল বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ষষ্ঠ আসর শেষ হওয়ার পরপরই আলোচনার টেবিলের উঠে এ প্রস্তাব। কিন্তু একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের আপত্তির কথা জানালে পরিকল্পনা পিছিয়ে দেওয়ার কথা উঠে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সূচীতে কোনো ফাঁকা স্লট না পাওয়ায় ডিসেম্বরেই বিপিএল আয়োজনের প্রস্তুতি বিসিবির।
ডিসেম্বরে ছিল বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এই পরিকল্পনার জন্য এগিয়ে আনা হয়েছে সফরটি। আগামী ২৫, ২৭ ও ২৯ জুলাই তিনটি ওয়ানডে হতে পারে। তবে এপ্রিল মাসে শ্রীলঙ্কায় ঘটে যাওয়া ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বেশ। তাই ক্রিকেটারদের শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর আগে নিরাপত্তার নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে বিসিবি।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ সোহেল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ বছরের শেষে বিপিএল সপ্তম আসর অনুষ্ঠিত হবে। যেটা হয়ে গেল এটা ছিল ২০১৮ এর বিপিএল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ২ মাস পিছিয়ে জানুয়ারিতে করা হয়েছিল ষষ্ঠ আসরটি। সেটা ছিল জাতীয় স্বার্থে। প্রতিবছর তো নির্বাচন হবে না। কাজেই এ বছরের স্লটে আরেকটি বিপিএল হবে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের পেছনে আমরা যাব না।’
বিসিবির এ পরিচালক জানান, খুলনাকে আবার বিপিএলের ভেন্যু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনাকে ভেন্যু করা হয়েছিল। শেষ আসরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে খেলা হয়েছিল। সপ্তম আসরে চার ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছা আয়োজকদের। ম্যাচ আয়োজনের জন্য ভেন্যু সংস্কার, হোটেলের মান উন্নয়ন এবং রাস্তা-ঘাটের সংস্কারের কথা জানিয়েছেন শেখ সোহেল।