খবর ৭১ঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইট দিয়ে ঢিল মেরে বড়ভাইকে হত্যা করেছে ছোট ভাই। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি লাশ দাফন করে ফেলেছে স্বজনরা। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার সুপারিশে পুলিশও নেয়নি কোন আইনি পদক্ষেপ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভোলাবো ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে রানা মিয়া (১৮) পাশ্ববর্তী ডাঙ্গা বাজারে ভগ্নিপতি হুমায়নের চাউলের দোকানে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে দোকান থেকে বাড়ি ফিরলে বাবা-মা রানার কাছে নালিশ করেন তার অপর দুই ভাই রাজন (১৪) ও সাজন(১২) দিনভর দুষ্টমী করে বেড়ায়। রানা ছোট ভাই সাজনকে শাসন করতে গেলে মেঝো ভাই রাজন ক্ষিপ্ত হয়ে ইট এনে বড় ভাই রানার মাথায় আঘাত করে। এতে সে তাৎক্ষনিক জ্ঞান হারালে লোকজন রানাকে রাজধানীর আশিয়ান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার নির্দেশে শুক্রবার ভোরে গোপনে জানাযা শেষে রানার লাশ দাফন করে ফেলে স্বজনরা।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হত্যাকান্ডের ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যেমকর্মীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নিহতের স্বজনরা তাদের সঙ্গে অসহযোগীতা ও অসদাচরন করেন। পরে পুুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভগ্নিপতি হুমায়নকে ভোলাবো ফাঁড়িতে নিয়ে এলেও কিছুক্ষন পর অজ্ঞাত কারনে ছেড়ে দেন তাকে। এ ঘটনায় কোন ধরনের পুলিশি পদক্ষেপও নেয়নি তারা।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে আমিসহ সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। ছোটভাই রাজন বড় ভাইকে ধাওয়া করেছে এ ব্যাপারটার সত্যতা আছে, তবে পরিবারের দাবি রাতে ডাব পারতে গাছে উঠলে সেখান থেকে নলকুপের পাড়ে পরে গিয়ে রানার মৃত্যু হয়। এ কারণে পুলিশ আর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।