খবর৭১ঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গরুর মাংসের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বের হয়ে এসেছে ভয়ঙ্কর চিত্র।
মেয়াদোত্তীর্ণ মাংসে গরুর পুরনো রক্ত মিশিয়ে তাজা মাংস হিসেবে বিক্রি, মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে বিক্রি ও মূল্যতালিকা না থাকায় ছয় মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে মাংসের দোকানগুলোতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম শরিফুল হক ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে এ অভিযান চালান।
এ সময় ফ্রিজ থেকে গরুর পুরনো রক্তের বোতলভর্তি সাড়ে ছয় কেজি রক্ত জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল হক ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে সড়ক বাজার এলাকার সব কটি গরুর মাংসের দোকান ঘুরে দাম ও মান পর্যবেক্ষণ করেন।
পরে আখাউড়া থানা পুলিশসহ উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলামকে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয় দোকানগুলোতে।
দোকানগুলোর রেফ্রিজারেটর থেকে বোতলজাত করে রাখা গরুর পুরনো রক্ত জব্দ করা হয়। গরুর নামে মহিষের মাংস বিক্রি ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ভোক্তা অধিকার আইনে মনির ও লোকমানসহ ছয়জনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ ১০ কেজি মাংস জব্দ করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল হক বলেন, কসাই দোকান মালিকদের কঠোরভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।