খবর৭১ঃ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছে থেকে যেসব বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার হুমকি পেয়েছেন, কিংবা পাচ্ছেন তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, ‘হুমকির ঝুঁকি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।’
রবিবার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হত্যার হুমকি পাওয়ায় নিরাপত্তা চেয়ে রবিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ধানমন্ডি থানায় অধ্যাপক মুনতাসির মামুন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ। তিনি জানান, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে মুনতাসির মামুনের একজন অফিস সহকারী এসে জিডি করেন।
তেজগাঁওয়ের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের পেছনে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের ষড়যন্ত্র ছিল, এখনও আছে। তাদের দমন করা গেলেও মূলোৎপাটন করা সম্ভব হয়নি। তারাই মাঝেমধ্যে হুমকি-ধামকির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু তাদের হুমকিতে বাংলাদেশের মানুষ কখনোই ভয় পায় না। কারণ, এ দেশের মানুষ সংগ্রাম করেই আজকের অবস্থানে এসেছে।’
আল-কায়েদা সমর্থিত বাংলা সাময়িকী লোন উলফের মার্চ সংখ্যায় বাংলাদেশের তিন বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ-সংক্রান্ত খবর গতকাল শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসে।
হুমকি পাওয়া তিন নাগরিক হলেন- বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ছাড়াও সেখানে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসির মামুন।
গতকাল শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল নিরাপত্তা চেয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই রাতেই একই থানায় জিডি করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে। তারা একের পর এক জঙ্গিদের দমন করছে। লোন উলফ ম্যাগাজিনের মার্চে প্রকাশিত সংখ্যায় দেশের কয়েকজনকে হুমকি দেয়া হয়েছে। এই হুমকি-ধামকিতে এদেশের জনগণ ভয় পায় না।’
সম্প্রতি গুলিস্তানে পুলিশের ওপর বোমা হামলার বিষয়ে আইএসের দায় স্বীকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু হলেই সাইট ইন্টেলিজেন্সে দায় স্বীকার করা হয়। এটা দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।’