খবর ৭১ঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নাজমুন নাহার ঝুমু নামের ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সকাল ৭টায় চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আলমের বাপের বাড়ির আবু হানিফের মেয়ে ঝুমু ঝড়ের সময় আম কুড়াতে বের হয়। এর ২ ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় একই বাড়ির লুৎফুর নাহার মনি পার্শ্ববর্তী মহিষের ডগির খালের মধ্যে ঝুমুরের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে জানান।
কোম্পানীগঞ্জ থানাকে ঘটনাটি জানালে ওসি মো. আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী হাসপাতাল মর্গে পাঠান। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, মেয়েটির শরীরে বিভিন্ন জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ধর্ষণকারীরা লাশ খালে ফেলে চলে যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চরকাঁকড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাজী শফি উল্যাহ বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তিনি ওসির বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বিগত তিন মাস আগে দুর্বৃত্তরা চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আশ্রাফ দুলালকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মহিষের ডগিতে ফেলে যায়। এ হত্যাকাণ্ডের আজও কোনো আসামি ধরা পড়েনি।