খবর৭১ঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ৪ জনপ্রতিনিধির সংসদে শপথ নেয়ার ইস্যুতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বসেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলন থেকে শপথ নেয়া ৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
এর আগে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে ওই চার নেতা সংসদ সদস্য হিসেবে স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর কাছে শপথ নেন।
তারা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইঞা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নেয়ায় দল থেকে ইতোমধ্যে বহিষ্কৃত হয়েছেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে ধানের শীষের নির্বাচিত প্রার্থী জাহিদুর রহমান।
এর আগে সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নেয়ায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সুলতাল মোহাম্মদ মনসুরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়, আর গণফোরাম প্রার্থী মোকাব্বির খানকে শোকজ করা হয়।
এদিকে শপথ নেয়ার আগে সংসদ ভবনের গেটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে সরকার থাকবে অথচ আইনের শাসন থাকবে না এটা হতে পারে না। তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা শপথ নিতে যাচ্ছি।’
এসময় শপথ গ্রহণ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওই চার সাংসদ সাংবাদিকদের জানান, তারা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই সংসদে শপথ নিতে এসেছেন। এতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও সম্মতি রয়েছে।
সেইসঙ্গে বিএনপির এই চার সাংসদ জানান, তারা মহান সংসদে দাঁড়িয়ে এই অকার্যকর সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচনের দাবি জানাবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ সারা দেশে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাবন্দি সকল নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাবেন।
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন সংসদে শপথ নিতে এলেন না এমন প্রশ্নে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ওই চার সাংসদ।
তবে ‘মহাসচিবের পদ হারানো ভয়েই’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছে না বলে সোমবার এক বক্তব্যে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।