খবর৭১ঃ আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে ধুমপায়ীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সিগারেট ওপর কর বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। ফলে আগামী অর্থবছর থেকে এ পণ্যটির দাম আরও বেড়ে যাবে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের কনফারেন্স কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারে পরিকল্পনা হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়া। আমরা সেই আলোকে বাজেট তৈরি করেছি। তাই গত বাজেটে কর বাড়িয়েছি। আগামী বাজেটেও সিগারেটের ব্যবহারের পরিমাণ কমানোর বিষয় বিবেচনায় রেখে এবারের বাজেটে দাম নির্ধারণ করা হবে।’
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা এমন কর ব্যবস্থা চাই, যাতে দেশের ভেতরে সিগারেট ধুমপায়ীদের সংখ্যা কমে আসে। আমরা রফতানিতে উৎসাহ দিতে চাই। গত বাজেটেও রফতানিতে কর শূন্য শতাংশ করেছি, প্রয়োজনে আরও সুবিধা দেয়া হবে। আপনারা এ সুযোগটা কাজে লাগান।’
বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশন, মোবাইল অপারেটদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েন অব মোবাইল অপারেটরস বাংলাদেশ (এমটব), বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশেন এবং উইমেন এন্টারপ্রিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।
সিগারেট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি জাকির ইবনে হাই বলেন, ‘কর ফাঁকি দিয়ে বাজারে সস্তা সিগারেটের সয়লাব। এখন রাইস মিলের ভেতরে সিগারেট বানাচ্ছে। রাজস্ব আদায়ের অন্যতম প্রধান সেক্টর যদি এই অবস্থা হয়। তাহলে কোথায় যাবো? এ খাত টিকে না থাকলে সরকারই রাজস্ব বঞ্চিত হবে।’
তিনি বলেন, গত বছর আমাদের ওপর নতুন করে কররোপ করেছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জকর হয়ে উঠেছে। আমাদের দাবি এক তরফা সিগারেটের দাম বাড়াবেন না। পলিসিতে বৈষম্য করবেন না। অন্যান্য সেক্টরের মতই সমান সুযোগ দেবেন। কারণ আমরাই সরকারকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব দিয়ে থাকি।
এছাড়া নতুন ভ্যাট আইনেও ১৫ শতাংশ ভ্যাট রাখার পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।