খবর৭১ঃ
অনলাইনে মিলবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃক প্রণীত পণ্য ও সেবার মান বিষয়ক বিনির্দেশিকা বাংলাদেশ মান (বিডিএস)। আজ রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ বিএসটিআই কাউন্সিল সভার শেষে শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের সভাপতি নূরুল মজিদ মাহমুদ হূমায়ুন এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) অর্থায়নে বাস্তবায়নকৃত বিএসটিআই’র ‘ই-ক্যাটালগ এবং বাংলাদেশ মান (বিডিএস) বিক্রি’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, অনলাইনে বিডিএস বিক্রয় কার্যক্রম চালু হওয়ার ফলে এখন থেকে কোন গ্রহককে বিএসটিআইতে এসে বিডিএস সংগ্রহ করতে হবে না। ঘরে বসে অনলাইনে বিডিএস সংগ্রহ করা যাবে। লাইসেন্স গ্রহণের আবদেনের সাথে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে অনলাইনে বিডিএস ক্রয়ের রশিদ জমা দিতে হবে। এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণের আরেকটি ধাপ বলেও উল্লেখ করেন শিল্পমন্ত্রী। উল্লেখ্য যে, বিডিএস হলো পণ্য ও সেবার মান বিষয়ক বিএসটিআই কর্তৃক প্রস্তুতকৃত বিনির্দেশিকা। বিএসটিআই’র লাইসেন্স গ্রহণের আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট পণ্য বা সেবার বাংলাদেশ মান তথা বিডিএস সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী, ভেজাল প্রতিরোধে বিএসটিআই’র ভূমিকা উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের জনবল ও সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
বিএসটিআই কাউন্সিল সভায় সহ-সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম। কাউন্সিল সভার সদস্য-সচিব হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই মহাপরিচালক মোঃ মুয়াজ্জেম হোসাইন। এছাড়া সভায় শিল্প, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, বাণিজ্য, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, স্বরাষ্ট্র, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ¦তন কর্মকর্তা, প্রধান তথ্য অফিসার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এফবিসিআই, ডিসিসিআই, বিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্যসহ এটুআই কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দেশব্যাপী বিএসটিআইয়ের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার মান নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় বিএসটিআইকে আধুনিক ও শক্তিশালী করতে চলমান উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, জনবল বৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামোতে গবেষণা ও উন্নয়ন সেল সৃজন, প্রধান, বিভাগীয় ও জেলা অফিসসমূহের মধ্যে প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, নতুন প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।