খবর ৭১ঃ ২৩ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের এ কার্যক্রম চলবে ১৩ মে পর্যন্ত।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের ৪৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বিকেল ৩টা থেকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এ বৈঠক চলে। প্রায় দুই বছর পর ইসি ভোটার তালিকা হালনাগাদের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যাদের জন্ম ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তাদের আগে তারা হালনাগাদে নিবন্ধিত হতে পারবেন। হালনাগাদের পাশাপাশি ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তনের জন্য মৃত ভোটারদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি যাদের জন্ম ২০০১ সালের ১ জানুয়ারির পর থেকে ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত, তাদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে।
এবারের হালনাগাদে তারা ভোটার না হলেও পরবর্তীতে তাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হলে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। আর ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিরা ২০২০ সালের নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
কমিশন জানিয়েছে, যারা এর আগে ভোটার হওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছেন এবং ছবি তুলেছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি, হালনাগাদের সময় তাদের নতুন করে ভোটার হওয়ার দরকার নেই।
নির্বাচন কমিশন সাধারণত প্রতিবছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে থাকলেও জাতীয় নির্বাচনের ব্যস্ততার কারণে ২০১৮ সালে তা করা হয়নি। বর্তমানে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৪২ লাখ।