খবর ৭১: গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হলে বড় বড় কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, কমে যাবে আমাদের রফতানির পরিমাণ। তাছাড়া ছোট ও মাঝারি কারখানার জন্য হবে মরার ওপর খাড়ার ঘা। আরও বিপদে পড়বে তারা। এর ফলে দেশের শিল্পায়ন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ লাভিঞ্জি হোটেলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) নব-নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের অভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ।
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, মুনাফা করা সত্ত্বেও গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস শিল্প ও আবাসিক খাতে ১০২ দশমিক ৮৫ শতাংশ বাড়ানো প্রস্তাব করেছে যা অগ্রহণযোগ্য। মূল্য বাড়ানোর পাশাপাশি তিতাস বিতরণ চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। তবে অনাবশ্যকভাবে গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হলে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, এরফলে উৎপাদন পণ্যের দাম বাড়বে।
তিনি বলেন, এতে বড় বড় কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, কমে যাবে দেশের রফতানি। এসএমই খাত ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়বে। নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের শিল্পায়ন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর। বাধাগ্রস্ত হবে উন্নত হওয়ার ভিশন ২০৪১ ও এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে।
বিসিআই সভাপতি বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় দেশের অর্থনীতি একটি শক্তিশালি অবস্থায় এসেছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৭ থেকে ৮ শতাংশের উপর স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিডিপির এ ধারাকে অব্যাহত রাখা জরুরি। এজন্য ব্যক্তিখাত ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। তরুণ শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ফি পাঁচবছর ৩০০ টাকা নির্ধারন করতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শ্রমিক নিয়োগ করলে বিশেষ কর সুবিধা দেওয়া হবে।