খবর৭১ঃ সচিবালয়ের এক নম্বর ভবনটি ভূমিকম্পে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে অফিস কার্যক্রম বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৮ এপ্রিল) ওই ভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতি হিসেবে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসেননি প্রধানমন্ত্রী।
পরে সরকারের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ওই বৈঠক থেকে ভবনটির ঝুঁকির কথা জানানো হয়। সেইসঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সমস্যা সমাধানে আরও একটি ২০ তলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
বৈঠকের বরাত দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন, সচিবালয়ের এক নম্বর ভবনটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। এ নিয়ে শিগগিরই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের এই ভবনের (১ নম্বর ভবন) ব্যাপারে একটা সতর্কতা আছে যে, এখানে যদি আর্থ কোয়েক (ভূমিকম্প) হয়, এগুলো দুর্বল। এটার বেইজটা অনেক পুরোনো ধরনের, ৬০-৭০ বছর আগে তৈরি করা এ ভবনটি। এটা নিয়ে একটু ঝুঁকি আছে।’
সচিব বলেন, ‘দাউকিতে (ভারতের মেঘালয়ে) ভূমিকম্পের যে আধুনিক সিগন্যালটি আছে সেটি নাড়া দেওয়ার দুই মিনিট পর আমাদের এখানে আসবে। আর আমরা যদি দুই মিনিট আগে সিগন্যাল পাই তাহলে ভবনটি খালি করতে পারবো। সব লোক মাঠে চলে যাবে, এটা সম্ভব। তবে সিগন্যালটি আসতে হবে।’
শফিউল আলম বলেন, ‘ভৌগলিক কারণেই দাউকি থেকে ঢাকা ভূমিকম্প পৌঁছাতে দুই মিনিট সময় লাগবে। এই দুই মিনিট সময় পেলেই ঢাকা শহরে যারা আছে তাদের সতর্ক করা যাবে এবং তারা সবাই সরে যেতে পারবে।’
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ১০টায় তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
খবর৭১/ইঃ