খবর৭১ঃ খাগড়াছড়িতে জোড়া খুনের মামলার আসামি ও খাগড়াছড়ি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার কালিবন্ধু ত্রিপুরা প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন। এ সময় তার স্ত্রী-পুত্রসহ সাতজন আহত হন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলার পাহাড়ী পল্লী থলিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, কালি বন্ধু ত্রিপুরার স্ত্রী রেমা প্রতি ত্রিপুরা(৫৭), পুত্র প্রদীপ ত্রিপুরা (২৪),যত্ন বিকাশ ত্রিপুরা(৩০), নিকট আত্মীয় অরুনা ত্রিপুরা(৩৫), বিদ্যা রতন ত্রিপুরা(৩৫) উৎপল ত্রিপুরা(৮) ও রুপবালা ত্রিপুরা(৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় দুই বছর পলাতক থাকার পর কালিবন্ধু ত্রিপুরা পরিবার নিয়ে চাঁদের গাড়ি ও মোটর সাইকেলে করে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ২০/২৫জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় কালিবন্ধু ত্রিপুরা নিহত হন। আহত হন পরিবারের ছয় সদস্য। তাদের খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা এ হত্যাকাণ্ড পূর্ব শক্রতার জের হিসেবে ঘটেছে দাবি করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন জানান, সদর থানায় মামলার প্রস্তুতিসহ হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য যে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২০১৭ সালের ১১ মে সন্ধ্যায় একই এলাকা থলিপাড়ায় কালিবন্ধু ত্রিপুরার প্রতিপক্ষের চিরঞ্জিত ত্রিপুরা (৫৫) ও তার পুত্র কর্ণ ত্রিপুরা (৩০) নিহত হন। সে সময় আহত হন চিরঞ্জিত এর স্ত্রী ভবেলক্ষী ত্রিপুরা (৪৫)ও পুত্রবধূ বিজলী ত্রিপুরা (২৮)। সেই হত্যাকাণ্ডের আসামি হিসেবে কালিবন্ধু ত্রিপুরা কারাগারে আটক ছিলেন। পরে জামিন নিয়ে বের হয়ে জেলা শহরে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান করছিলেন।