বিদেশী আরো একটি এয়ারলাইন বাংলাদেশে কর্মকাণ্ড বন্ধ করছে

0
356

খবর ৭১ঃ বিদেশী আরো একটি এয়ারলাইন বাংলাদেশে তাদের কর্মকান্ড বন্ধ করে দিচ্ছে। ২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বিমান সংস্থা ফ্লাই দুবাই ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ বাংলাদেশে তাদের অপারেশন বন্ধ করে দেয়ার পর এবার একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক এয়ারলাইন ‘স্কুট’। মিডিয়ার কাছে এ এয়ারলাইনের বাংলাদেশের জেনারেল সেলস এজেন্ট নভো এয়ারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী ২৯ শে এপ্রিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেবে তাদের সর্বশেষ ফ্লাইট। এরপর ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটে তাদের আর কোনো বিমান উড়বে না। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই রুটে টিকে থাকার প্রতিযোগিতা অনেক কঠিন হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে কর্মকান্ড গুটিয়ে নিয়েছে ওমান এয়ার, বৃটিশ এয়ারওয়েজ, কোরিয়ান এয়ার, আরএকে এয়ারওয়েজ, এয়ার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ব্যাংকক এয়ারওয়েজ, শ্রীলংকা ভিত্তিক মিহিন লঙ্কা, বাহরাইনের গালফ এয়ারওয়েজ, নেদারল্যান্ডের কেএলএম।
এভাবে একের পর এক বিদেশী এয়ারলাইনের বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ায় দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল খাতে বড় ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন এ বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবদুল মোমেন মিডিয়ার কাছে বলেছেন, এ অঞ্চলে বেসামরিক বিমান যোগাযোগের ক্ষেত্রে চমৎকার একটি প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে ঢাকা বিমানবন্দর।

পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে একটি সম্পর্কের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে এটি। কিন্তু তেমনটি করে তোলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে না বললেই চলে। তিনি উদাহরণ হিসেবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার কথা তুলে ধরেন। বলেন, এ দুটি দেশ নতুন কোনো এয়ারলাইন্স এলে প্রথম বছরে তাদের ওপর কোনোই চার্জ আরোপ করে না। এর মধ্য দিয়ে অধিক হারে বিদেশী এয়ারলাইন্সকে আকৃষ্ট করা হয়। উল্টোদিকে, বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোকে আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশে এমন কিছু অফার করা হয় না। পক্ষান্তরে ঢাকায় জ্বালানির দাম অনেক বেশি। ফলে খরচ বেশি পড়ে। এ জন্য ঢাকা হলো বিদেশী বিমান সংস্থাগুলোর কাছে একটি বাজে গন্তব্য। তার মতে, বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো যখন ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনা করে তখন তাদেরকে নানা রকম বিপত্তির মুখে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকায় অপারেশন বন্ধ করার ক্ষেত্রে বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন কারণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here