খবর৭১ঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরতের বিষয়ে কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে কানাডার আদালত। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছে কানাডায় বাংলাদেশ হাই-কমিশন।
গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টায় ওন্টারিওর ফেডারেল আদালতে নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরানোর লক্ষে করা মামলার শুনানি শুরু হয়।
শুনানিতে নূর চৌধুরীর বিষয়ে তথ্য সরবরাহের পাশাপাশি দীর্ঘ বিতর্ক হয়। বিচারপতি ও’ রাইলির আদালতে বাংলাদেশের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জন টেরি। শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানায়।
পঁচাত্তরের পর পালিয়ে যাওয়া নূর চৌধুরী কানাডার টরন্টোতে রয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল মৃত্যুদণ্ডবিরোধী কানাডা। তবে ২০১৬ সালে শেখ হাসিনা কানাডা সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে নূর চৌধুরীকে ফেরতের বিষয়ে আলোচনা করার পর এ বিষয়ে সুর নরম হয় কানাডার।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে ২০১০ সালে ২৭ জানুয়ারি পাঁচজনের সাজা কার্যকর হয়। বাকিদের মধ্যে নুর চৌধুরী কানাডায় আর রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছে। এছাড়াও মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, আব্দুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন।
এদিকে নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় কানাডার আদালত সহযোগিতা করবেন বলে প্রত্যাশা কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর হওয়া পাঁচজন হলেন- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমদ (আর্টিলারি), বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার)। এছাড়া পলাতক আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
খবর৭১ /জি