খবর৭১ঃ শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাঁচ্চা’ বলে সম্বোধন করায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছেন তারা। আজ সকাল ৮টা থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যোগ দেননি।
বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
একই সাথে দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে বৈকালিন চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের বাইরে এর প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় ভিসি ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাঁচ্চা’ বলেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
এর প্রতিবাদে এবং ভিসির ওই উক্তি প্রত্যাহারের দাবিতে আজ সকাল থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু দাবি। এর মধ্যে রয়েছে টিএসসি’তে পাঠদান না করানো, সেমিনার রুমের ভাড়া ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫শ’ টাকা করা এবং সকল জাতীয় দিবস শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমন্বয়ে উদযাপন করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, মঙ্গলবার কিছু শিক্ষার্থী স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড করার পায়তারা করে। তারা অনুষ্ঠান হতে দেবে না বলে চেষ্টা করে। যারা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড করার পায়তারা করে তারা রাজাকার নয় তো কি? এখন কি আমি শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইবো? এটা কি হতে পারে?
তিনি আরো বলেন, আন্দোলনকারীদের মধ্যে জামায়াত-শিবির ঢুকে গেছে এবং তাদের ইন্ধনেই কিছু শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নামে অরজকতা করছে।
এদিকে বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে সবগুলো বিভাগের চেয়ারম্যানকে ডেকে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং যথযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক।