খবর ৭১ঃ বগুড়ায় যৌতুকের কারণে স্ত্রী সাদিয়া আক্তার সুমিকে মারপিট মামলায় জেলে রয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
দু’দফা জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই জেলের সেলে তার দিন কাটছে বসে, শুয়ে ও ঘুমিয়ে। ৭ মার্চ জেলে যাওয়ার পর জনপ্রিয় এই কমেডিয়ানকে শুধু একদিন দেখতে গিয়েছিলেন তার মাসহ স্বজনরা।
স্ত্রী পক্ষের বা তার ভক্তরা একদিনও খোঁজ নেয়নি। এরপরও তিনি স্বপ্ন দেখছেন- চলচ্চিত্র তৈরি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী এবং মন্ত্রী হওয়ার।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের মৃত আহম্মদের ছেলে হিরো আলম পেশায় ক্যাবল অপারেটর বা ডিশ ব্যবসায়ী। পরবর্তীতে মিউজিক ভিডিও করে ফেসবুকে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্বাচন বর্জন করেন। তার প্রার্থিতা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
বগুড়া কারাগারের জেলার রফিকুল ইসলাম ও ডেপুটি জেলার আবু সাদ্দাদ জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে হিরো আলমকে অধূমপায়ী সেলে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও বিভিন্ন মামলার ৩-৪ জন হাজতি রয়েছেন। গত ১৬ দিনের মধ্যে শুধু একদিন তার মা ও আত্মীয়রা তাকে দেখতে এসেছিলেন। তার স্ত্রী বা কোনো ভক্ত আসেননি। হিরো আলম সেলে চুপচাপ থাকেন। কখনও অন্য হাজতিদের সঙ্গে গল্প করে, বসে, শুয়ে ও ঘুমিয়ে সময় কাটান। তিনি বাইরের বা জেল ক্যান্টিনের নয়; সরকারের বরাদ্দ জেলের খাবার খান।
হিরো আলম জেল কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে মামলা ও জামিন কোনো ব্যাপার নয়। শিগগিরই তিনি জামিনে ছাড়া পাবেন এবং মামলায় নিরপরাধ প্রমাণিত হবেন। স্ত্রীর সঙ্গে সৃষ্ট ঝামেলা মীমাংসা করে নেবেন। এরপর চলচ্চিত্র নির্মাণে মনোযোগী হবেন। হিরো আরও জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর বগুড়া-৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে তিনি তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ পেয়েছেন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো দল বা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবেন। তার বিশ্বাস ওই নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হবেন। এছাড়া জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতার কারণে তাকে মন্ত্রী করা হবে। আর মন্ত্রী হতে পারলেই এলাকা তথা বগুড়া জেলার উন্নয়নে কাজ করবেন।