খবর৭১ঃকিছুতেই থামছে না হতভাগ্য মায়ের কান্না। অবিরাম ঝরছে অশ্রুধারা। তার চোখের জলে পিচ্ছিল হয়ে ওঠে কিশোরগঞ্জের আদালতপাড়া।
চাঁদের মতো ফুটফুটে চার বছরের নিপীড়িত শিশুকন্যাটি নিজের ব্যথা আড়াল করে হাসিমুখে বারবার হাত উপরে তুলে স্নেহময়ী মায়ের চোখের জল মুছে দিচ্ছিল। সোমবার এ দৃশ্য ও ঘটনা ছিল ‘টক অব দ্য কোর্ট’।
স্কুল ও কলেজপড়ুয়া দুই সন্তানের বাবা কর্তৃক ধর্ষিত হয়ে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ৪ বছরের ওই শিশুকন্যা কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় বাজিতপুর থানায় মামলা দায়েরের পর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে সোমবার বিকালে ২২ ধারায় বিচারকের কাছে জবানবন্দি দিতে ৪ বছরের শিশুকন্যাটিকে পুলিশি পাহারায় কোলে নিয়ে মা-বাবা কোর্টে এসেছিলেন।
আর এ সময় ধর্ষিত শিশুর মা-বাবার চোখের জলে ভেসেছে আদালতপাড়া। ধর্ষিতের মা-বাবা ও নারী সংগঠন বিকৃত মানসিকতার ওই লম্পট ধর্ষককে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
বাজিতপুর থানায় রুজুকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাজিতপুর থানার এক গ্রামের চাঁদের মতো ফুটফুটে চার বছরের ওই শিশুকন্যাটিকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে দাদা সম্পর্কের সবুজ মিয়া (৪৫) তাকে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতনের শিকার শিশুটি এখনও কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শনিবার বাজিতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সোমবার কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে শিশুটিকে বিকালে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিতে পুলিশি পাহারায় কিশোরগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে নেয়া হয়।
কিশোরগঞ্জ জজকোর্টের কোর্ট ইন্সপেক্টের মো. তৌফিকুল ইসলাম জানান, ২২ ধারায় বিচারকের কাছে জবানবন্দি দিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে পুলিশি পাহারায় মা-বাবার সঙ্গে আদালতে আনা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মায়া রাণী ভৌমিক এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিকৃত রুচির ওই লম্পটকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও তার দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
বাজিতপুর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান পাটোয়ারী জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকেই ধর্ষককে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খবর৭১/এসঃ