খবর৭১ঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু কি, তাঁর আদর্শ কি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন কি ছিল, বঙ্গবন্ধু কি করতে চেয়েছিলেন বাঙালি জাতির জন্য, দেশের জন্য, কেমন তাঁর নীতি-আচার আচরণ ছিল সব কিছুই দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী ‘মুজিব বছর’ উদযাপনের সময়।’’
রবিবার (১৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ধী-সমপন্ন উন্নতমানের ধ্যান-ধারণা থেকেই বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানী শাসকদের কাছে আত্মসমর্পন করেছিলেন, তবে বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যায়ে কোর্স চালু করা উচিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যে ভূমিকায় দেশ শাসন করছেন এবং উন্নয়ন সাধন করছেন তা বঙ্গবন্ধুরই স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং ধ্যান-জ্ঞান নিয়েই অব্যাহত উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেশকে চরম শিখরে পৌছে দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সবসময় ছিলেন দেশপ্রেমিক। তিনি কখনো কোনো পন্থি ছিলেন না। তিনি ছিলেন দেশের জনগণপন্থি। বঙ্গবন্ধুর অর্জনের চেষ্টা সবাইকে অভিভূত করে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বেও অনেক দেশই বাংলাদেশ চিনতো না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে চিনতো। বঙ্গবন্ধুর ধী-শক্তি আর রাজনৈতিক দূরদর্শীতার জন্যই চীন এবং মুসলিম দেশগুলো দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশকে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এতোই পান্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন যা বলে শেষ করা যাবে না। ফলে অনেক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তিনি অনেক আগেই করে রেখেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পারসোনালিটির জন্যই ভারত বাংলাদেশ থেকে এতো দ্রুত তাদের সৈন্য ফিরিয়ে নিয়েছিল যা বিশ্বে ইতিহাস হয়ে আছে।’
সেমিনারে স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাখাল রাজা, মুকুটহীন সম্রাট।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা বাঙালিরা পাকিস্তানিদের লাথি-গুড়ি আর অহরহ মারগুতা খেতাম। অথচ সেই মুক্তিদাতাকে আমরা বেশি দিন পাইনি। পাকিস্তানি দোসরদের প্রেতাত্মারা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাজার বছরে একজন প্রতিবাদী জন্ম নিয়ে ছিলেন, তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, বাংলাদেশ সম্প্রীতির আহ্বায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নুসরাত জাহান, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
খবর৭১/এসঃ