খবর ৭১ঃ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেসবুক।দেশে বা দেশের বাইরে আপনি যে কোনো জায়গা থেকে নেট ব্যবহার করে ফেসবুক প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলা,ছবি, ভিডিও ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাতে পারবেন।ফেসবুক যেমন যোগাযোগ খুব ভালো মাধ্যম তেমনি এই ফেসবুকের রয়েছে ক্ষতিকর অনেক দিক।
কারণ এই ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি যদি কোনো ব্যক্তির আপত্তিকর কোনো ছবি বা মন্তব্য করেন তবে আপনার বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেয়া যাবে।আধুনিক জীবনে ফেসবুকি এখন এক নতুন বাস্তবতা।যে কোনো খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
আমাদের টাইমলাইন, নিউজফিড ভরে যায় প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় সংবাদ, ছবি ও ঘটনায়। এ সুযোগটি করে দিচ্ছে ইন্টারনেট। সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৭০ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে। তরুণদের মধ্যে এ হার আরও বেশি, প্রায় ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের রয়েছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
ফেইসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামসহ যোগাযোগের অন্য সাইডে অনেক সময় ব্যয় করছে শিশুরা, যা ক্ষতিকর। ইন্টারনেই ব্যবহারের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে নিষিদ্ধ বা আপত্তিকর অনেক বিষয় জানা যায়।এছাড়া আমাদের শিশুরা প্রতিদিন ফেসবুকের পেছনে অনেক সময় ব্যয় করছে।
শিশুরা যদি প্রতিদিন দুই ঘণ্টার বেশি সময় ফেসবুকে ব্যয় করে তবে তাদের ক্রুটিপূর্ণ মানসিক বিকাশের ঝুঁকি রয়েছে। মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া এমনকি আত্নহত্যার প্রবণতা থাকার আশঙ্কা দেখা দেয়। এমনি তথ্য দিয়েছে নতুন এক গবেষণা।
এ বিষয়ে গবেষণা করেন কানাডার ওট্টাওয়া পাবলিক হেলথ’য়ের হুগেসস সাম্পাসা-কানিঙ্গা এবং রোসামান্ড লুয়েস। গবেষণার জন্য ‘অনটারিও স্টুডেন্ট ড্রাগ ইউজ অ্যান্ড হেলথ সার্ভে’য়ের সপ্তম থেকে দ্বাদশ গ্রেডের শিক্ষার্থীদের তথ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষণা দেখা যায়, শতাংশ শিক্ষার্থীই দৈনিক দুই ঘণ্টার বেশি সময় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে।
তিনি বলেন, শিশুর ফেসবুক ব্যবহারের এই ফলাফল বাবা-মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ওয়েবসাইটগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর উদ্যোগের পরামর্শও দেন তিনি।
তবে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোর ইন্টার্যাক্টিভ মিডিয়া ইনস্টিটিউটের ব্রেন্ডা কে. উইডারহোল্ড বলেন, সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো কারও জন্য সমস্যা আবার কারও জন্য সমাধান হিসেবে দেখতে পাই। তরুণরা এই সাইটগুলো ব্যবহার করেন, তাই তাদের কাছে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এটি একটি কার্যকর মাধ্যম।
সাইবারসাইকোলজি, বিহেইভিয়ার অ্যান্ড সোশাল নেটওয়ার্কিং জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।