কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
নিউজিল্যান্ড ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার মধুর হাইল্যা গ্রামের ড. আব্দুস সামাদের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। নাগেশ^রী উপজেলা সদর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বাড়িতে এখন উৎসুক মানুষরা ভিড় করছেন।
তিনি ২০১৩ সাল থেকে সপরিবারে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের এ্যাগলি পার্কে বসবাস করে আসছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের লিংকন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ছিলেন। এছাড়া তিনি ডিন্স এ্যভিনিউ এর আল নূর মসজিদের মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৩ পূত্র সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম কিশোয়ারা বেগম। তারেক রহমান ও তানভীর হাসান নামে তার দুই ছেলে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করে। এছাড়া বড় ছেলে তোহা মাহমুদ ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত।
ড. আব্দুস সামাদ পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়। তার বড়ভাই আসাদ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। অন্য দুই ভাই গ্রামের বাড়িতে থকেন।
তার ছোট ভাই হাফেজ হাবিরুর রহমান জানান, তারা এই হত্যাকান্ডে অত্যন্ত মর্মাহত। তারা চান দ্রুত এই হত্যাকান্ডের বিচার হোক এবং ড.সামাদের মরদেহ অবিলম্বে বাংলাদেশে এনে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হোক।
এদিকে ড. সামাদসহ মুছল্লিদের হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার বাদ আছর নাগেশ^রী বাজারে ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে একটি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
#