খবর ৭১ঃ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আজ শনিবার সকালে আদালতে তোলা হয়। তবে আদালতে তোলার সময় গণমাধ্যমের দিকে চেয়ে তাকে মুচকি হাসতে দেখা যায়। এ সময় তার মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুতাপ দেখা যায়নি।
আদালতে উপস্থিত আল জাজিরার সাংবাদিক জানান, ট্যারেন্ট অনেকটা সময় অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে গণমাধ্যম কর্মীদের দিকে। মাঝে মাঝে তাদের দিকে তীর্যক হাসি ছুঁড়ে দেয় সে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, হত্যার অভিযোগে ২৮ বছর বয়সী অস্টেলিয়ার এই নাগরিককে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রিমান্ড দিয়েছেন ক্রাইস্টচার্চের জেলা আদালত। এর আগে আদালতে প্রবেশের সময় রীতিমতো মাথা উঁচু করে প্রবেশ করতে দেখা যায় ট্যারেন্টকে, যা আদালতে উপস্থিত সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে।
তবে কয়েদীর পোশাকে, হতকড়া পরে খালি পায়ে আদালতে হাজির হওয়া ট্যারেন্ট কোনো কথা বলেনি। শুধু হাতের ইশারায় জানিয়েছেন, সব ঠিক আছে। এমন ইশারা শেতাঙ্গ উগ্রবাদীদের মধ্যে প্রচলিত একটি বিষয়।
বিচারক ট্যারান্টের ছবি তোলার অনুমতি দেন এই শর্তে যে, গণমাধ্যমে তার চেহারা যেন স্পষ্টভাবে না আসে। আদালত থেকে তার পক্ষে নিয়োগ দেওয়া আইনজীবী তার জামিনের কোনো আবেদন করেননি।
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় রীতিমতো ফেসবুক-ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিমিং চালু করে মসজিদে হামলা চালায় ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। নৃশংসভাবে আড়াইশ রাউন্ড গুলি চালায় নামাজে থাকা মুসলিমদের ওপর।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৮ জন। নিহতদের মধ্যে তিন বাংলাদেশি রয়েছেন। এর মধ্যে ড. আব্দুস সামাদ নামে একজন অধ্যাপক রয়েছেন। হামলার শিকার ‘মসজিদে নুর’ -এর মোয়াজ্জিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন ড. সামাদ।