খবর৭১ঃ এক ছাত্রলীগ নেতাকে পায়ের রগ কেটে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোহেলের বন্ধু সিরাজসহ জড়িত সন্দেহে চার জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার মধ্যে রাতে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের টাওড়া এলাকায় ঘটে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
নিহত সোহেল মিয়া ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তিনি টাওড়া এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে।
নিহত সোহেল মিয়ার বাবা মজিবুর রহমান জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে সোহেল মিয়া ও তার বন্ধু সিরাজ মিয়া টাওড়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। আদর্শ বিদ্যাপিঠ নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে আসামাত্রই কিছুই লোক সোহেল মিয়াকে জোরপূর্বক উঠিয়ে বিলের দিকে নিয়ে গিয়ে দুই পায়ের রগ কেটে দেয়।
এছাড়া পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেতলে দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।
পরে সোহেলকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় সোহেল।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শহিদুল আলমসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সোহেলের বন্ধু সিরাজসহ চার জনকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
খবর৭১/এসঃ