মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ চুনারুঘাট উপজেলার বনগাও গ্রামে প্রেমিক মোজাহের আলী জুয়েল (২৫) এর বিয়ের খবর শুনে তার বাড়িতে এসে বিষের বোতল হাতে নিয়ে অনশন করছে প্রেমিকা। স্থানীয় মুরুব্বি ও জনপ্রতিনিধিরা প্রেমিকাকে বিষয়টি সামাজিক ভাবে মিমাংসা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিলেও অনশন ভাঙ্গাতে নারাজ ওই প্রেমিকা। এমতাবস্থায় ওই ঘটনায় নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। জুয়েল ওই গ্রামের হাছন আলীর পুত্র। প্রেমিকা রুবি আক্তার (২২) একই উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের কন্যা। স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুর রউফ জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে প্রেমিকা রুবি আক্তার নামে ওই যুবতি জুয়েলের বাড়িতে বিষের বোতল হাতে নিয়ে এসে অবস্থান নেয়। সে দাবী করে তার সাথে জুয়েলের প্রায় ৪ বছর পূর্বে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর পর তারা একে অপরকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কও হয়। গত ২৬ ফেব্র“য়ারী হবিগঞ্জ কোর্টে এফিডিভিটের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয় বলেও দাবী করে সে। সম্প্রতি জুয়েল অন্যত্র বিয়ে করছে এমন খবর পেয়ে সে তার বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান নেয়। এসময় সে হাতে করে একটি বিষের বোতলও নিয়ে আসে। রুবি জানায় তাকে জুয়েল বিয়ে না করলে সে বিষপান করে আত্মহত্যা করবে।
তিনি আরো জানান, ঘটনাটি এলাকায় প্রচার হওয়ার পর স্থানীয় মুরুব্বি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু প্রেমিকা রুবির সাথে দেখা করেন। পরে বিষয়টি সমাধের লক্ষ্যে ওই যুবতিকে আমি (আব্দুর রউফ মেম্বার) এর জিম্মায় দেয়া হয়। আগামী শুক্রবার উভয় পরিবারকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের লক্ষে বসা হবে। এদিকে, প্রেমিকা রুবি তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে খবর পেয়ে প্রেমিক জুয়েল আত্মগোপনে চলে গেছে।ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সজনু বলেন, বিষয়টি সামাজিক ভাবে সুরাহা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। যার দায়িত্ব আব্দুর রউফ নামে এক ইউপি সদস্যকে দেয়া হয়েছে। সুরাহা না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও বিষয়টি পুলিশকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।চুনারুঘাট থানার (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে পুলিশ অবগত রয়েছে। সামাজিক ভাবে বিষয়টি সামাধান না হলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খবর৭১/ইঃ