খবর৭১ঃ দেশের সবকটি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর।
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সারাদেশের মতো নিজ জেলা পটুয়াখালীতেও চলছে তাকে নিয়ে আলোচনা।
কে এই নুর সে বিষয়ে জানতে উদগ্রীব অনেকেই। নুর ও তার পারিবারের অন্যান্য সদস্যের রাজনৈতিক ইতিহাস বিষয়েও নানা কথা চাউর হয়েছে ইতিমধ্যে।
এর আগে নুরকে গত বছরে চাকরিতে কোটাব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে জানতেন দেশবাসী।
ক্যাম্পাস জীবনের শুরুতে তার তেমন কোনো পরিচিতিই ছিল না।
কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, পটুয়াখালীর গলাচিপার কৃষক মো. ইদ্রিস হাওলাদারে ছেলে নুরুল হক নুর। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে নুর দ্বিতীয়।
এতো বড় সংসারের ঘানি টানতে নুরের বাবা ইদ্রিস হাওলাদার কৃষি কাজের পাশাপাশি উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের একটি বাজারে চায়ের দোকান দিয়েছেন। এ দোকান দিয়েই তিনি সংসার চালান।
পটুয়াখালীর চর বিশ্বাস ইউনিয়নেই শৈশব কেটেছে নুরের। সেখানের চর বিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন তিনি। এর পর ভর্তি হন গাজীপুরের কালিয়াকৈরের একটি স্কুলে। সেখান থেকে এসএসসি এবং উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন।
এরইমধ্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হয়েছিলেন নুর।
জানা গেছে, নুরের বাবা একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ১০ বছর তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন।
স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক।
এদিকে নুর জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন কথা বলা হলেও পটুয়াখালীর চর বিশ্বাস এলাকার মানুষেরা নুরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা হিসেবেই জানে।
নুর বা তার পরিবারের কোনো সদস্য জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন কোনো তথ্য দেননি স্থানীয়রা।
বরং নুর আওয়ামী লীগ নেতার জামাতা বলে তথ্য দিয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে চর বিশ্বাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাতেম আলীর মেয়ে মরিয়ম আক্তারকে বিয়ে করেন নুর।
নুরের স্ত্রী মরিয়ম স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত।
এ বিষয়ে ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ছিল।
খবর৭১/এসঃ