খবর ৭১ঃ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী, দর্শনার্থীসহ অন্যদের মশার উৎপাত থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক আইনজীবীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইনে ‘শাহজালাল বিমানবন্দর: মশার পরান বধিবে কে?’ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ছাপা কাগজে ‘ছেঁকে ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করা হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রুলে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মশার আক্রমণ দমনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিবাদিদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব, বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দর সংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তানভির আহমেদ বলেন, এটি একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যদি মশার উৎপাত থাকে তবে বহির্বিশ্বে আমাদের জাতীয় ভাবমূর্তিই খারাপ হবে। আদালতও একই রকম মন্তব্য করেছেন। এবং রুল জারি করেছেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের প্রধান এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ থেকে শুরু করে হাজারো যাত্রী— সবাই মশার কাছে আত্মসমর্পণ করে নিত্যদিন আসা-যাওয়া করছে। শুধু কি তাই, শ্রমিক, শুল্ক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য— যারা পেশার টানে শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রতিদিন আসেন, তাদের মশার কামড় খেতেই হয়।
মশা মারতে কখনো কখনো ফগার মেশিনের তর্জন-গর্জনও চলে। কিন্তু শাহজালাল বিমানবন্দরে মশার দাপট একটুও কমে না। আর মশা মারা নিয়েও চলে রশি–টানাটানি। সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের জবাব, মশা মারার দায় সিটি করপোরেশনের।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে উত্তর মেলে- ‘অনুমতি ছাড়া বিমানবন্দরে প্রবেশ নিষেধ। অনুমতি দিয়ে ডাক দিলে তারা মশা মরতে সদা প্রস্তুত।