খবর৭১ঃরাজশাহীর তানোর উপজেলায় সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গোদাগাড়ীতে নৌকায় সিল দিতে গিয়ে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে শান্তিপূর্ণ এ ভোটে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার বোদ্ধপুরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন আহত হন। তবে যে কোনো সহিংসতা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।
শনিবার দিবাগত রাতে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র থেকে মইদুল ইসলাম আপেল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি।
রাতেই কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট ভর্তির দাবি জানালে তাকে আটক করা হয়। গোদাগাড়ীতে নৌকার প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, অলস সময় পার করছেন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তারা। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ভোট পড়েছে কম। প্রিসাইডিং অফিসাররা বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে তারা ধারণা করছেন।
সকাল ১০টার দিকে গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, দুই হাজার ৭৭ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৫৮ জন। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার খন্দকার মাহফুজুল হক বলেন, ভোটার কম হলেও অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর অন্য উপজেলাগুলোতেও ভোটারের সংখ্যা কম। সকাল ১০টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ভোটার দেখা গেছে গোদাগাড়ীর সারেংপুর সরকারি বিদ্যালয়কেন্দ্রে। এখানে দুই হাজার ৯০০ ভোটারের মধ্যে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ ভোটগ্রহণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার মিজানুল হক।
রাজশাহীর ৯ উপজেলার মধ্যে উচ্চআদালতের নির্দেশে পবা উপজেলার নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত রয়েছে। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দফায় রোববার ভোটগ্রহণ চলছে বাকি আট উপজেলায়। সেগুলো হলো- গোদাগাড়ী, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা।
আট উপজেলায় ভোটের মাঠে রয়েছেন ১৬ চেয়ারম্যান, ৩০ ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১৯ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
বাঘা ও মোহনপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন গোদাগাড়ীর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
রাজশাহীতে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫২২টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) ভোটকেন্দ্র ধরা হয়েছে ২১৬টি। বাকি ৩০৬টি কেন্দ্র সাধারণ ধরে নিরাপত্তা ছক তৈরি করা হয়েছে।
নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা পুলিশের প্রায় দুই হাজার সদস্য। প্রতি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় দুটি করে ১০৯টি মোবাইল টিমও দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া মাঠে রয়েছে বিজিবি ও র্যাব।
রাজশাহীর আট উপজেলায় মোট ভোটার ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে তানোরে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৩, গোদাগাড়ীতে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩, মোহনপুরে এক লাখ ২৯ হাজার ২৪৮, বাগমারায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ১৪, পুঠিয়ায় এক লাখ ৬০ হাজার ৭২৪, দুর্গাপুর এক লাখ ৪১ হাজার ১০৫, চারঘাটে এক লাখ ৫৯ হাজার ৭২৫ এবং বাঘায় এক লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৩ জন।
খবর৭১/ইঃ