খবর ৭১ঃ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২৪ ঘণ্টার জন্য বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। রোববার সন্ধা ৬টা থেকে ১১ মার্চ (সোমবার) সন্ধা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকর্তা এবং কর্তব্যরতরা ছাড়া অন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবেন না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সাত স্পটে তল্লাশি করবে পুলিশ।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
ডিমএপি কমিশনার বলেন, ডাকসু নির্বাচনে কেউ যদি অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে ঢাবি কর্তৃপক্ষ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ কঠোর আইন প্রয়োগ করবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের দিন বিভিন্ন স্থানে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা গুচ্ছ হয়ে অবস্থান নেবে। প্রতিটি হল এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তারা দায়িত্ব পালন করবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া মুভ করবে না।
‘আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ১০ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১১ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না’ বলে জানান তিনি।
ডিমএপি কমিশনার বলেন, ঢাবি এলাকায় প্রবেশের ৭টি পয়েন্টে বেরিক্যাড দিয়ে পুলিশ চেকপোস্ট তৈরি করবে। আগতদের তল্লাশি করবে। সেগুলো হচ্ছে শাহবাগ, নীলক্ষেত, শহীদুল্লাহ্ হল ক্রসিং, রোমানা ক্রসিং, পলাশী, দোয়েল চত্বর ও জগন্নাথ হল ক্রসিং।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাবির শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের প্রবেশের জন্য আগে থেকে পাস সংগ্রহের অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়াও সেদিন ঢাবির স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়ি ঢাবি এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। যেসব যানবাহন স্টিকার নিয়ে ঢাবির ভেতরে যাবে সেগুলোকে প্রয়োজনে তল্লাশি করা হবে। নির্বাচনের দিন ঢাবি এলাকায় কোনো রিকশা প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। আগতরা চেকপোস্টের সামনে নেমে পায়ে হেঁটে ঢাবির ভেতরে ঢুকবেন। ভেতরে কিছু রিকশা থাকবে সেগুলোতে চড়ে ভেতরে চলাচল করবেন। ইতোমধ্যে কিছু রিকশাকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র দিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, যারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যাবেন তাদের বকশীবাজার হয়ে চানখারপুল দিয়ে ঢামেকে প্রবেশ করতে হবে। নির্বাচনের দিন বিভিন্ন স্থানে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা গুচ্ছ হয়ে অবস্থান নেবে। প্রতিটি হল এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তারা দায়িত্ব পালন করবে। নিরাপত্তার স্বার্থে এদিন ঢাবি এলাকায় আগতদের কোনো ধরনের ছুরি, চাকু, লাঠি, দাহ্য পদার্থ না আনার অনুরোধ করছি।
যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানেই পুলিশ থাকবে। কেউ অনিয়মের চেষ্টা করলে তার দলীয় পরিচয় যাই হোক, অবস্থান যাই হোক ঢাবি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাচনের মিডিয়া কাভারেজের জন্য প্রতিটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে ৪ জন ও প্রিন্ট মিডিয়া থেকে ২ জন সাংবাদিক ও ১ জন ফটোগ্রাফার প্রবেশ করতে পারবেন। তাদের আগে থেকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষ থেকে পাস সংগ্রহ করতে হবে।
সাংবাদিক সীমিত কেন? জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, প্রিন্ট মিডিয়ার ৩ জন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৪ জন করে হলে মোট দুই শতাধিক সাংবাদিক কাভার করতে পারবে যা যথেষ্ট বলে মনে করেছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
সাধারণত এ ধরনের বড় ইভেন্টের আগে ঢাবির হলগুলোতে লাঠি, সোটা অস্ত্র মজুদ থাকে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে ঢাবি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে।