খবর৭১ঃসদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নৌকাডুবিতে বুড়িগঙ্গায় একই পরিবারের ছয়জন নিখোঁজের ঘটনায় মীম (৮) নামে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।এ নিয়ে এ ঘটনায় দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদরঘাটের বাদালতলী এলাকা থেকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন চারজন।তাদের সন্ধানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের তিনটি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মাহমুদুল হাসান জানান, সকাল ৭টার দিকে ওই শিশুটির মরদেহ ভাসমান অবস্থায় সদরঘাটের বাদালতলী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শাহজালালের স্ত্রী শাহিদা এবং তাদের মাহি (৬)। শাহজালালের ভাই দেলোয়ার হোসেন ও তাদের ৭ মাস বয়সী শিশু স্নেহা নিখোঁজ রয়েছে।তাদের বাসা কামরাঙ্গীরচরে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় নদী থেকে নিখোঁজ দেলোয়ারের স্ত্রী জামশিদার (২২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন জানান,বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জন নিখোঁজ হন।
দুজনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- ইঞ্চিনচালিত ওই নৌকার যাত্রী শাহজালাল (৩৫) ও মাঝি। তাদের রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উদ্ধার হওয়া যাত্রী শাহজালালের বাসা কামরাঙ্গীরচরে। পেশায় তিনি দর্জি। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর যাওয়ার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে কামরাঙ্গীরচর থেকে নৌকায় উঠেন শাহজালালসহ পরিবারের সাত সদস্য।
রাত ১০টার দিকে নৌকাটি সদরঘাটে এসে পৌঁছায়। এ সময় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বরিশালের উদ্দেশে সুরভী-৭ নামে একটি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার জন্য ঘাট থেকে পেছন দিকে সরে। এতে পেছনে থাকা নৌকাটিতে ধাক্কা লাগে এবং সেখানে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। যাত্রীসহ নৌকাটি ডুবে যায়।
খবর৭১/ইঃ