খবর৭১ঃদরজায় কড়া নাড়ছে ভারতের সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনই নানা চমক দেখাতে মাঠে নেমেছেন বিজেপি ও কংগ্রেস নেতারা।
জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে আলোচনায় থাকতে চাইছেন তারা। সেদিকে মোটেই পিছিয়ে নেই দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত সপ্তাহে মোদি পরিচ্ছন্ন কর্মীদের পা ধুয়ে দিয়েছিলেন যে বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
সেদিন উত্তরপ্রদেশে স্নান সেরে গেরুয়া বসন পরে পূঁজা করেন মোদি। এরপরই পাঁচ পরিচ্ছন্ন কর্মীর পা ধুয়ে দেন।
টেলিভিশনে সরাসরি এ দৃশ্য দেখানো হয় যে, মোদি পানি দিয়ে নরেশ কুমার, ছবি, পেয়ারে লাল, জ্যোতি ও হোরি লাল নামের পাঁচ দলিত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের পা ধুয়ে দেন।
এ ঘটনাকে মহাত্মা গান্ধীর পর দ্বিতীয় কোনো নেতার এভাবে আত্মসমর্পণ বলে দাবি করলেও কংগ্রেসসহ বিরোধীরা ঘটনাটিকে ভোট বাণিজ্য বলছেন।
এ ঘটনাকে নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় চলছে।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, গান্ধীর পর এই প্রথম কোনো নেতা দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর সেবায় এভাবে নিজেকে নিবেদন করলেন।
বিজেপির কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের পা ধুয়ে দেশবাসীকে এক মহান বার্তা দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজের অস্পৃশ্যতা আর ভেদাভেদের বিষ দেশের শীর্ষ নেতার এই চেষ্টাতে দূরীভূত হবে।
তবে মোদির এমন কাণ্ডে ও বিজেপি নেতাদের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস ও তৃণমীল কংগ্রেসের নেতারা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে বিষয়টিকে মোদির ভোটের চমক বলে মন্তব্য করেছেন।
পা ধুয়ে দিলেও দলিতদের সমর্থন বিজেপি পাবে না জানিয়ে প্রবীণ এ তৃণমূল নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রচার ভালোবাসেন। এটা তার প্রচারের একটি অংশ মাত্র। মোদির শাসনে গত পাঁচ বছরে দলিতরা খুব সংকটে রয়েছে। সেটা তারা ভুলে যাবে না। ’
পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘এটা একেবারেই ভোটকেন্দ্রিক প্রয়াস। গতবার যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তার একটাও পূরণ করতে পারেননি মোদি। সে কথা বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রী নানান কৌশল নিচ্ছেন।’
পশ্চিমবঙ্গের দলিত ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি রাজু ঘোষ বলেন, ‘ভোটের আগে এটা একটা মার্কেটিং কনসেপ্ট। আমরা এটা মানি না। এখন দলিতদের পা ধুয়ে মোদি বোঝাতে চাইছেন, সংখ্যালঘু, দলিতরা সবাই সমান। কিন্তু এখনও কৃষকরা অত্যাচারিত হচ্ছেন। দলিতদের জন্য সংরক্ষিত আসন উচ্চবর্ণের কাছে মোটা টাকায় বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে।’
খবর৭১/ইঃ