খবর ৭১ঃ ভারতে উৎপাদিত কিছু ক্ষেপণাস্ত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সেদেশেরই প্রধান হিসাবপরীক্ষকের দপ্তর। সূত্রঃ বিবিসি
সংসদে পেশ করা কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণের জন্য দেশেই তৈরী ওই মিসাইলগুলো পরীক্ষার সময়ে ৩০% ব্যর্থ হয়েছে।
চীনের মোকাবিলা করার জন্য ছয়টি বিমানঘাঁটিতে এই মিসাইলগুলি মোতায়েন করার কথা ছিল।
হিসাবপরীক্ষক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির নাম উল্লেখ না করলেও সেগুলি ‘আকাশ’ মিসাইল বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় পেশ করা প্রতিবেদনটিতে কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেলের দপ্তর জানিয়েছে, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ওই সব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ২০টিকে পরীক্ষা করেছে বিমানবাহিনী। তার মধ্যে ছয়টি হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে, অথবা আদৌ আকাশে ওড়ে নি। অর্থাৎ ৩০% মিসাইলই ব্যর্থ হয়েছে।
প্রধান হিসাবপরীক্ষকের দপ্তরের ওই প্রতিবেদন উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা পি টি আই জানিয়েছে, সরকারী সংস্থা ভারত ইলেক্ট্রনিক্সের তৈরী ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ব্যর্থতার যদি এই হার হয়, তাহলে যুদ্ধের প্রস্তুতিতে এক বড় ফাঁক রয়ে যাবে।
চীনকে মোকাবিলা করার জন্য ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছ’টি বিমানঘাঁটিতে রাখার কথা ছিল। তবে নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় মিসাইলগুলি এখনও ঘাঁটিতে রাখা যায় নি।
হিসাবপরীক্ষকের প্রশ্নের জবাবে বিমানবাহিনী জানিয়েছিল, যে ছ’টি মিসাইল ব্যর্থ হয়েছে, সেগুলির পরিবর্তে নতুন মিসাইল বানিয়ে দিচ্ছে প্রস্তুতকারী সংস্থা। কিন্তু কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেলের প্রতিবেদন উল্লেখ করে পি টি আই জানিয়েছে যে শুধু ব্যর্থ হওয়া মিসাইলগুলি বদল করলেই হবে না, সরকারের উচিত সেগুলির গুনগত মান যাচাইয়ের ওপরে আরও জোর দিতে হবে।