খবর৭১ঃ পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সেই ‘ওয়াহেদ মঞ্জিল’সহ তিনটি ভবনের অবস্থাই নাজুক। ক্ষতিগ্রস্ত ওই ভবনগুলো শেষপর্যন্ত ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তদন্ত কমিটি ভবনগুলোকে ব্যবহারের অনুপযোগী মনে করছে। তবে এ ব্যাপারে ভবন বিশেষজ্ঞরা সাতদিন পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবেন। এমনটি হলে ওই ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হতে পারে।
শুক্রবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তদন্ত দলের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি ভবনের মধ্যে তিনটি ব্যবহারের অনুপযোগী বলে প্রাথমিকভাবে তারা মনে করছেন। আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনের অনুমতি নেই। সরকারের নির্দেশনার পর নতুন করে লাইসেন্স দেয়া হয়নি।
তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের পুর প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ওয়াহেদ মঞ্জিলের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও দ্বিতীয় তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিম ও কলামগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন-চার তলার বিম ও কলাম তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এক সপ্তাহ পর জানা যাবে, ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী কিনা।’
ভবনগুলো বিল্ডিং কোড মেনে হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ওয়াহেদ মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলার পুরোটাতেই গোডাউন ছিল। এটি বেশ বড় ভবন হওয়া সত্ত্বেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কোনও ইকুইপমেন্ট নেই, পর্যাপ্ত সিড়ি নেই। ভবনগুলো বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি হয়নি। আগুনের সূত্রপাত হয়তো সিলিন্ডার বিস্ফোরণে, কিন্তু কেমিক্যালের কারণে আগুন ছড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য ভবনগুলোও পরিদর্শন করেছি। তবে ভবনগুলো টিকে থাকার জন্য বিম ও কলাম প্রাথমিকভাবে ভালো মনে হয়েছে। এগুলো ব্যবহারের উপযোগী কিনা পরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
খবর৭১/এসঃ