সেলিম হায়দার,তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালার ঘর পেয়ে হাসি ফুটেছে ৭৪৯টি দরিদ্র পরিবারে। ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে এই ৭৪৯টি পাকা ঘর। লাখ টাকার বাজেটে সেমি পাকা ঘরের সাথে দেওয়া হয়েছে একটি টয়লেটও। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে দারিদ্র পরিবারগুলো এখন আনন্দে আত্মহারা।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তালা উপজেলা আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলা সরুলিয়া ইউনিয়নে জুসখোলা গ্রামে প্রধান অতিথি হিসাবে আশ্রয়ন -২ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া।
ওই গ্রামের দরিদ্র রহিমা বেগম (৩৫) ঈদ্রীস শেখ (৩০) ও ছাত্তর শেখের (৪৫) হাতে ঘরের চাবি তুলে দেয়ার মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন কালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন, প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান, সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমান, খলিশখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাফ্ফার হোসেনসহ ইউপি সদস্য ও এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। এজন্য আশ্রয়ন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রাম তৈরি করে ভূমিহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু যাদের কিছু জমি আছে অথচ ভাল ঘর নেই, দরিদ্রতার কারণেই ঘর তৈরি করতে পারছে না তাদের জন্য ‘জমি আছে ঘর নেই’ নামে এক লাখ টাকায় একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তারই আলোকে তালা উপজেলায় এই ৭৪৯টি ঘর।’
তিান আরো বলেন, সরকার শিক্ষা,বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শতভাগ বিদ্যুৎ, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সকল উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন। এসময় তিনি সরুলিয়া গ্রামের বৃদ্ধ শেখ আব্দুল জব্বার (৯০) কে একটি ঘর বরাদ্ধ দিয়ে নির্মান কাজ শুরু করা জন্য তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
সুবিধা ভোগিরা জানায়,অর্থাভাবে থাকার জন্য ভালো ঘর তৈরি সম্ভব হয়নি তাদের। বৃষ্টি হলেই পানিতে ভেসে যেত ঘরের মেঝে। ঝড়-বৃষ্টির দিনে ঘুমানোই দায় হতো। এখন তার ঘর হয়েছে, সঙ্গে যার পাকা টয়লেট। আজ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পাকা ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ।