খবর৭১:কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের গাড়ি বহরে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলা এতটাই শক্তিশালী যে, বিস্ফোরণের পর নিহতদের দেহাবশেষ ও গাড়ির ভগ্নাংশ আলাদা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। তদন্তে নিয়োজিত গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এখবর জানিয়েছে।
ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাস্থলে তুষার ও গলে যাওয়া তুষার। বিস্ফোরণটি এতই শক্তিশালী ছিল যে মানুষের দেহাবশেষ গাড়ির ভগ্নাংশের সঙ্গে একেবারে মিলিয়ে গেছে। এটার মধ্যেই তাদের কাছ করতে হচ্ছে।
কর্মকর্তা বলছেন, আত্মঘাতী বোমা হামলায় যে গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটার এক্সেল সম্ভবত তারা খুঁজে পেয়েছেন। এটা জোড়া লাগিয়ে গাড়ির মালিকানার তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
বিস্ফোরণে নিহত আত্মঘাতী হামলাকারীর কোনও দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষী (এনএসজি) বাহিনীর বোম্ব টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাদের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, বোমাটি ১০০-১৫০ কেজি আরডিএক্স ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
এনএসজি সদস্যরা ঘটনাস্থলে আর কোনও বোমা ব্যবহারের কোনও প্রমাণ পাননি। তবে এতো বিপুল পরিমাণ আরডিএক্স কিভাবে পুলওয়ামা আনা হলো এবং গাড়িতে বসানো সম্ভব হয়েছ তা সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা বলেছিলেন, ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক নিয়ে সিআরপিএফের বাসে ধাক্কা মেরে বিস্ফোরণ ঘটনায় জয়েশ-ই-মহম্মদের আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আদিল আহমেদ দার।
খবর৭১/জি