খবর৭১ঃহেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, পঞ্চগড়ের আহমদনগরে ‘কথিত মুসলিম নামধারী কাদিয়ানি অমুসলিমদের জাতীয় ইজতেমার নামে ঈমানবিধ্বংসী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, খতমে নবুওয়াত অস্বীকারকারী কাদিয়ানীরা অমুসলিম, কাফের। মুসলিম নাম ধারণ করে ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে তাদের ঈমানবিধ্বংসী কোনো কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না৷
বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতাল থেকে সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানব জাতির হেদায়াতের জন্য যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। নবী রাসুলগণের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী ও রাসূল হচ্ছেন হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ঈমানদার হওয়ার জন্য আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত তথা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ নবী ও রাসূল হওয়ার বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। খতমে নবুওয়াতে বিশ্বাসী হওয়া ছাড়া মুসলমান হওয়া যায় না। কাদিয়ানীরা খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকার করে তাই তারা কাফের৷
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, মসজিদ পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট জায়গা, মুসলিম উম্মাহর ইবাদতের পবিত্র স্থান৷ কাদিয়ানীরা কাফের, কাফেরদের কোনো মসজিদ হতে পারে না। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি মুসলমানদের ধর্মীয় পরিভাষা। কাদিয়ানীরা কাফের তাই মুসলমানদের কোনো পরিভাষা ব্যবহার করে তারা তাদের ভ্রান্ত মতাদর্শ প্রচার করতে পারে না৷ এটা ইসলাম ধর্মের অবমাননার শামিল৷
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ৷ এ দেশের মুসলমানগণ বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজেদের প্রাণের চেয়েও বেশি মুহাব্বাত করেন৷ বিশ্বনবী (সা.) এর রিসালতকে অস্বীকারকারী কাদিয়ানী অমুসলিমদের আস্ফালন এদেশের ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতা মেনে নেবে না।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে এদেশের হিন্দুরা হিন্দু নামে, বৌদ্ধরা বৌদ্ধ নামে এবং খ্রিস্টানরা খ্রিস্টান নামে তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করছে৷কিন্তু কাদিয়ানী অমুসলিমরা মুসলমান নাম ধারণ করে সরলমনা সাধারণ মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে ঈমানবিধ্বংসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে৷ যা ইসলাম ধর্মের নামে অপপ্রচারের শামিল৷ তা কখনো মেনে নেয়া যায় না৷ অনতিবিলম্বে পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিতব্য কাদিয়ানীদের তথাকথিত জাতীয় ইজতেমাসহ বাংলাদেশে তাদের ঈমানবিধ্বংসী সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
অন্যথায় আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত রক্ষার্থে এ দেশের লাখো নবীপ্রেমিক তৌহিদি জনতা অমুসলিম কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে৷
কাদিয়ানীরা অমুসলিম৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে৷ ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশেও কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার জোর দাবি জানান হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী
খবর৭১/এসঃ