বাগেরহাট প্রতিনিধি.
বাগেরহাটের ফকিরহাটে দুরপাল্লার বাসের সঙ্গে বালু বোঝাই ট্রাকের মুখোমূখি সংঘর্ষে তিনযাত্রী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ বাসযাত্রী। আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে আরও এক যাত্রী মারা যায় । মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার কলমের দোকান এলাকায় এদূর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাগেরহাট ও খুলনা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে গাড়ীতে আটকে পড়া বালু বোঝাই ট্রাক চালকের মরদেহ উদ্ধার করে। দূর্ঘটনার পর ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় আড়াই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার পর বিকেল চারটার দিকে তা স্বাভাবিক হয়। এই দূর্ঘটনার জন্য দুরপাল্লার টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের বেপরোয়াগতিতে চালানোকে দায়ী করেছে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
নিহতদের মধ্যে বালু বোঝাই ট্রাক চালকের পরিচয় জানা গেছে। তার নাম মো. কামরুজ্জামান। বাড়ি সাতক্ষীরায়। অন্যদের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যান চালক আব্দুল জব্বার ঢালী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী শামীম অভিযোগ করে বলেন, বেপরোয়াগতিতে একটি গাড়ীকে অতিক্রম করতে যেয়ে ঢাকাগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস এই দূর্ঘটনা ঘটায়। এই সড়কে দুরপাল্লার টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়াগতিতে চলাচল করে আসছে। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
ফায়ার সার্ভিস খুলনা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, যাত্রীবাহী বাস ও বালু বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে হতাহতরা গাড়ীর মধ্যে আটকা পড়ে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতদের মধ্যে ট্রাকের মধ্যে আটকে পড়া ট্রাক চালকের মরদেহ প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে তাকে বের করে আনা হয়।
মহাসড়ক পুলিশের কাটাখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মলায়েন্দ্র নাথ রায় বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহী বাস মোংলা-মাওয়া মহাসড়কের বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কলমের দোকান এলাকায় পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি ট্রাকের মুখোমূখি সংঘর্ষ হয়। এতে টুঙ্গিপাড়া পরিবহনের দুই যাত্রী ও ট্রাক চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত ২০জনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে আরও এক যাত্রী মারা যায়। দূর্ঘটনার পর মোংলা-মাওয়া মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। #