৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের যে নৈতিক পরাজয় হয়েছে তা থেকে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য আওয়ামী লীগ কথিত বিজয় উৎসব করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে দলের প্রতিষ্ঠাতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠক, প্রথম সেক্টরের কমান্ডার ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের পরাজয় হয়েছে। সাথে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় পরাজয় হয়েছে। কারণ তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আছে, ২০ দলীয় জোটও আছে এবং থাকবে। আমাদের মাঝে কোনো টানাপোড়েন নেই।’
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা অর্থাৎ গণতন্ত্রের বহুমাত্রিকতার বিষয়টি তিনি সামনে নিয়ে আসেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভিন্ন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সামনে নিয়ে আসেন।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে- যিনি জাতিকে স্বাধীনতায় অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁর জন্ম দিনে আওয়ামী লীগ উৎসব পালন করতে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধা নেই। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু বিশ্বাস করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমরা শপথ নিয়েছি গণতন্ত্রকে আমরা মুক্ত করবো, সর্বোপরি যিনি এই পতাকা ধরে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাকে মুক্ত করবো এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, ডা. ফরহাদ হালীম ডোনারসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিক দলের অসংখ্য নেতাকর্মীরা।