সাংবাদিক গল্পকার সেলিম আউয়ালের ৫৬তম জন্মদিন ১০ জানুয়ারি

0
480

খবর৭১ঃ গল্পকার সেলিম আউয়ালের ৫৬তম জন্মদিন আজ। সেলিম আউয়াল একজন লেখক সংগঠক সাংবাদিক। ১৯৬৪-এর ১০ জানুয়ারি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের খুজগিপুর মোল্লাবাড়ি গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন তিনি। তার পিতা মরহুম আবদুল ওয়াহিদ ও মাতা মিরযা সমর উন নিসা। সিলেট শহরেই শৈশব কৈশোর যৌবনের দিনগুলো এবং ঐতিহ্যবাহী মদন মোহন কলেজ থেকে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে গ্রাজুয়েশন লাভ। তিনি দেশের প্রাচীনতম সাহিত্য সাময়িকী আল ইসলাহ’র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহ-সভাপতি। শিশু কিশোর যুব কল্যাণ সংগঠণ সাইক্লোন গ্রুপ, এটি সমাজসেবা অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত সংগঠন। তিনি বাংলা একাডেমীর সদস্য, সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের জীবন সদস্য, প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের জীবন সদস্য, অপরাধ সংশোধন ও পুর্নবাসন সংস্থা সিলেট-এর জীবন সদস্য। চার ভাই দু’বোনের মধ্যে সেলিম আউয়াল সবার বড়। সহধর্মিনী আফিয়া সুলতানা। কন্যা নাদিরা নুসরাত মাশিয়াত এবং পুত্র জুন্নুরাইন কদর তাজিম।
বিভিন্ন সময় নানা পেশার সাথে সম্পৃক্ত হলেও সাংবাদিকতাই তার মুল পেশা। সেই কৈশোরে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে ‘সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা’র রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতার সূচনা। তারপর সিলেট প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন হবিগঞ্জের দৃষ্টিপাত পত্রিকায়। দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকায়ও স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। সাপ্তাহিক সিলেটের সকাল’র নির্বাহী সম্পাদক, পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি ২০০১ থেকে দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সাহিত্য সম্পাদক, পরবর্তীতে বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফেব্রুয়ারি ২০০২ থেকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর সিলেট প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। সিলেটের প্রথম অনলাইন দৈনিক সিলেট সিফডিয়া ডটকম (পরবর্তী নামকরণ সিলেট এক্সপ্রেস ডটকম), অনলাইন টিভি সিলেট সুরমা টিভি’র যাত্রা তার হাত দিয়ে। তিনি সিলেট প্রেসক্লাবের সদস্য, স্থানীয় সরকার সাংবাদিক ফোরাম সিলেট জেলা শাখার সভাপতি। সিলেট প্রেসক্লাব কর্তৃক ফেলোশিপপ্রাপ্ত এবং একইসাথে মাস লাইন মিডিয়া সেন্টার এমএমসি তাকে ফেলোশিপ প্রদান করে। প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি), বাসস, মাস লাইন মিডিয়া সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তিনি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণও প্রদান করেন।
গল্পকার সেলিম আউয়াল ছড়া দিয়ে লেখালেখির জগতে পা রাখলেও এখন মূলত কথাসাহিত্যে পদচারনা। শিল্পতরু প্রকাশনী থেকে বেরোয় তার প্রথম গল্পগ্রন্থ আমি এবং সে। সাপ্তাহিক রোববার ঈদ সংখ্যা ২০০১-এ প্রকাশিত উপন্যাস কুকুরের লাশ ঢাকার মৌলি প্রকাশনী বের করেছে যুবতীর লাশ শিরোনামে। উপন্যাসটির দ্বিতীয় সংস্করণ কেমুসাস বইমেলা মার্চ ২০১২-এ বের করে সিলেটের পানশী। সিলেট বিষয়ক লেখাজোখা তার তৃতীয় গ্রন্থ। তার চতূর্থ গ্রন্থ শেকড় সন্ধানী ধ্যানী গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল (জীবনী), পঞ্চম গ্রন্থ মরা গাঙে জল (ছোট গল্প), ষষ্ট গ্রন্থ সাংবাদিক সংগঠক মো. বশিরুদ্দিন (জীবনী), সপ্তম গ্রন্থ গানের পাখি হাসন রাজা এবং তার পুত্র দৌহিত্র প্রপৌত্র কথা (গবেষণা), অষ্টম গ্রন্থ আবাবিল হয়ে দিয়ে যাই চুম (ভ্রমণকাহিনী), নবম গ্রন্থ অন্ধকারে দাঁড়িয়ে বেদারুদ্দিন স্যার কবিতা শুনেন (গল্প), দশম গ্রন্থ চ্যাঙের খালে ব্যাঙের ফাল (ভ্রমণকাহিনী), একাদশ গ্রন্থ বই নিয়ে বই (গ্রন্থ সমালোচনা)। তিনি ডা. এ রসুল সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬ লাভ করেন।

খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here