উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের রাজুপুর, বাকা, শিংগা, দিঘলিয়া, মল্লিকপুর, চাচই, দেবী, শরশুনা, সত্রহাজারী এলাকায় ধনিয়ার সবুজ পাতা ও সাদা বর্ণের ফুলে ফুলে মৌ মাছির ঝাঁক মধু সংগ্রহের জন্য গুন গুন করছে। ফাগুনের সকাল বেলায় ভেজা মাঠে ধনিয়া ফুলের সুবাস বাতাসে ভাসছে। কৃষকেরা ধনিয়া চাষে ঝুঁকেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে প্রায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে ধনিয়া চাষাবাদ হয়েছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, বেলে দোঁআশ ও দোঁয়াশ মাটি ধনিয়া, বাদাম, পেয়াঁজ ইত্যাদি ফসল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। গত মৌসুমে এলাকার ধনিয়া ক্ষেত চোখে না পড়লেও এ মৌসুমে গ্রামের পথ বেয়ে চলার সময় রাস্তার দুপাশে যত্রতত্র ধনিয়া ক্ষেত চোখে পড়ছে। এদিকে ধনিয়া পাতা ও ফসল কৃষকদের কাছে একটি লাভজনক ফসলে পরিণত হওয়ায় অন্যান্য মৌসূমের তুলনায় এ মৌসূমে ধনিয়া চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুন অর্জিত হয়েছে। ধনিয়ার ক্ষেতগুলো দেখে মনে হয় কেউ যেন সবুজের মাঝে সাদা চাদর প্রকৃতির মাঠে বিছিয়ে রেখেছে। এদিকে এক শ্রেনির মধুচাষী ধনিয়া ক্ষেতের পাশে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছে। এলাকায় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো। ধনিয়া চাষাবাদ খুব সহচ এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল। এছাড়া ধনিয়া ক্ষেতে সেচ ও সার খুব কম লাগে। আমাদের দেশে বিভিন্ন তরকারিতে স্বাদ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধনিয়া এবং ধনিয়ার পাতা এর মধ্যে অন্যতম। নড়াইলের লোহাগড়ায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ধনিয়া চাষাবাদে খরচ ও রোগ বালাই খুব কম হওয়ায় অন্যান্য মৌসূমের তুলনায় এ মৌসুমে কৃষকেরা অধিক হারে ধনিয়া চাষে ঝুকেছে। যে কারনে আমাদের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে দ্বিগুন হারে ধনিয়া চাষ হয়েছে। আগামীতে ধনিয়া চাষ আরো বাড়বে বলে মনে করি।’