খবর৭১ঃএখনও নির্বাচনে থাকতে চাই; আশা করি ইসির ভূমিকা বদলাবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রচারণার অংশ হিসেবে বুধবার সকালে বগুড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর আগে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল আরও বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর নির্বাচনী পরিবেশের উন্নতি হবে- এমনটা আশা করা হয়েছিল। এখন উল্টো বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর বাড়ছে হামলা ও গ্রেফতার।
এসময় বিএনপি মহাসচিব আভাস দেন, বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টের জরুরি সভায় আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত।
আজ দুপুর ২টা নাগাদ বগুড়া সদরের বাঘোপাড়ার পথসভায় যোগ দেবেন বিএনপি মহাসচিব।
শিবগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ ও রামনাথপুর থানায় বেশ কয়েকটি পথসভার পর সন্ধ্যায় রংপুরের দুই জায়গায় গণসংযোগ করবেন মির্জা ফখরুল। রাতে নিজ বাড়ি ঠাকুরগাঁও থাকার পর আগামীকাল ঢাকায় ফিরবেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এক জরুরি বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) একেএম নুরুল হুদার অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেজাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সে সময় তিনি বলেন, বর্তমান সিইসির কাছ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন তো দূরের কথা, নিরপেক্ষ আচরণও আশা করা যায় না। এমতাবস্থায় আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এমন একজন মেরুদণ্ডহীন পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তির নেতৃত্বে থেকে নির্বাচন কমিশনকে মুক্ত করা অনিবার্য বলে মনে করি।
আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছি এবং যথার্থই একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন নয়, দেশে হোলি উৎসব চলছে। গণমাধ্যমকর্মীরাও সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।’ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
এর আগে দুপুরে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।বৈঠকে আসন্ন নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সিইসির সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের ‘উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়’ হয়।
খবর৭১/ইঃ