কাজী শাহ্ আলম,হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি- চলতি শীত মৌসমে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বৃষ্টির পর শৈত্যপ্রবাহ এবং অব্যহত ঘনকুয়াশায় দিন দিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রচন্ডশীতে কাতরাচ্ছেন বস্ত্রহীন শীতার্থ মানুষ। আজও বিতরন হয়নি সরকারী শীত বস্ত্র কম্বল। খরকুঠার আগুনে শীতার্থদের শীত নিবারনের একমাত্র সম্বল।
সরজমিনে শুক্রবার উপজেলার চর সির্ন্দুনা গ্রামে গেলে, আয়নাল হক (৫৫) আ লিক ভাষায় বলেন, শীতের কারনে হামা যে অন্যর বাড়ী কাজ কামাই করতে পাই না। হামার যে গরম কাপর কেনার টাকা নাই এ খবর কায় নেয়, সবায় খালি ভোট চায়। একই এলাকার সাজু মিয়া বলেন,গত কয়েক দিন আগে দিনভর বৃষ্টিতে সুর্য্যে দেখা যায়নি। এরপর শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ আর ঘনকুয়াশা। একদিকে হিমালয়ের হিমেল হাওয়া আর শৈত্যপ্রবাহ অব্যহত ঘনকুয়াশায় কনকনে প্রচন্ড শীত নামছে। এখন পর্যন্ত সরকারী বা বেসরকারী কোন সংস্থা শীত বস্ত্র বিতরন করেন নাই। দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের বৃদ্ধ মোকছেদ আলী ও বাবলু জানান,শীতের গরম কাপর কেনার টাকা নাই হামার তাই হামা আগুন জ্বালাইয়া গরম হই। তাছারা যে হামার কোন উপায় নাই। সবায় কয় হামাক ভোট দিলে এটা উন্নয়ন করমো ওটা উন্নয়ন করমো কিন্তু গরীবের খবর কাও নেয় না।
এ প্রচন্ড শীতে যেমন বস্ত্রহীন শীতার্থ মানুষের আহাযারী বাড়ছে। তেমনি বিভিন্ন শ্রমিক পেশার শ্রমিকদের শ্রম বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে।
গতকাল শনিবার উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চলতি শীত মৌসমে প্রথমবারের মত ৪ হাজার পিছ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যাহা জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিতরন এবং ইউনিয়ন ভিত্তিক বন্ঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে নির্বাচনের পর বিতরন করা হবে। #