সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নৌকা ইতোমধ্যে হেরেই গেছে। তাই তারা সরকারি সংস্থা দিয়ে নানা রকম হুমকি – ধমকি দিচ্ছে, বিভিন্ন অপকৌশলে আশ্রয় নিচ্ছে। কারণ এ ফ্যাসিবাদী সরকার জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নিতে চায়।
জাতির ইতিহাসে এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন এ নির্বাচনে স্থির হবে দেশে গণতন্ত্র থাকবে কিনা। আর তরুণ যুবকরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এবং মা-বোনেরা মাথা উঁচু করে থাকতে পারবেন কিনা।
তিনি গতকাল (শনিবার) দুুুপুরে নীলফামারী – ৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকারের এক নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
শহরের বিমানবন্দর সড়কের অফিসার্স কলোনী ফাইভ স্টার মাঠে আয়োজিত ওই নির্বাচনী জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মো. আব্দুল গফুর সরকার।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য বিলকিছ ইসলাম, নীলফামারী -৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকার প্রমূখ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সাবেক সাংসদ এ জেড এম রেজওয়ানুল হক,সাবেক সাংসদ মো. আখতারুজ্জামান মিয়াসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, এ সরকার দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছর মানুষের বাক স্বাধীনতা পাথর চাপা দিয়ে রেখেছেন। প্রশাসনের কাছে যান আওয়ামী লীগ ছাড়া কিছু দেখবেন না। কোর্ট আর পুলিশ ছাড়া কিছুই নেই আওয়ামী লীগের।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নের পরিবর্তনে নিজেদের উন্নয়ন করেছে। বিদ্যূৎ, গ্যাস, পানিসহ সবকিছুরই বিল বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। বিনা পয়সা সার দিতে চেয়ে সারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ সরকার দেশের মানুষকে ১০ টাকা চাল খাওয়াতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেননি। বর দেশে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম ৩/৪ গুন বেড়ে গেছে।
আইন-শৃংখলাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রে কর্মচারী। তাই আওয়ামী লীগের কথায় দেশের নিরাপরাধ,নির্দোষ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা যাবেনা।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের মুখে হাসি নেই, নির্বাচনেরও পরিবেশ নেই। নির্বাচন কমিশন বলছেন দেশের নির্বাচনের প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন যেখানে মাটিই নেই, সেখানে মাঠ সমান হবে কিভাবে ? যারা জোর করে ভোট নিতে চায়, তারা দেশের শত্রু বলে আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের লড়াই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আনার। এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। কারণ এ নির্বাচন কমিশন হচ্ছে ঠুঁটো জগন্নাথ। দেশে ধানের শীষে জোয়ার উঠেছে দাবি করে ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনসভায় উপস্থিত ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আগামী ৩০ ডিসেম্বর সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন এবং ভোট গণনা শেষে বাড়ি ফিরবেন।