খবর৭১:জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর অনুকূলে ২৭১ কোটি ৮৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৮৪ টাকা অগ্রিম বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে তাদের পুরো ব্যয় পরিশোধ করা হবে ভোটের পর। আর সশস্ত্র বাহিনীর বরাদ্দও তাদের মোতায়েনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে নির্ধারণ করবে ইসি।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটের মাঠে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সেনাবাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। গত বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠকে করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখা সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে ৭০০ কোটি বাজেট রাখা হয়েছে। তবে নির্বাচনের ব্যয় বেড়ে ৭শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আগাম হিসেবে পুলিশকে দেয়া হলো- ৬৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানকে (র্যাব) ১০ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে ১ কোটি ৫৬ লাখ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ৩৩ কোটি দুই লাখ ৪৩ হাজার, আনসার ও ভিডিপি ১৬৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত পত্রে স্ব স্ব বাহিনীর অনুকূলে বরাদ্দের কথা জানানো হয়।
পুলিশের জন্য বরাদ্দকৃত ৬৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার টাকার মধ্যে খোরাকি বাবদ ৩৬ কোটি ১৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, জ্বালানী বাবদ ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, মনোহরি দ্রব্যাদি বাবদ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং আপ্যায়ন ব্যয় ৩ কোটি ১ লাখ ৩৭ হাজার, যানবাহন (ভাড়া ও মেরামত) বাবদ ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
বিজিবির জন্য আগাম দেয়া হয়েছে ৩৩ কোটি দুই লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে খোরাকি খাতে ১১ কোটি ৫০ লাখ ৬৫ হাজার, জ্বালানি খাতে ৩ কোটি ৩৫ লাখ, মনোহরি ২১ লাখ ৩৩ হাজার, আপ্যায়ন ব্যয় ৩৩ লাখ ১৫ হাজার, যানবাহন ১৬ কোটি তিন লাখ ৭১ হাজার, ব্যবস্থাপনা ব্যয় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
র্যাবের জন্য আগাম ১০ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দের মধ্যে খোরাকি খাতে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৮৯ হাজার, জ্বালানি খাতে ৩ কোটি ২৪ লাখ ৬৪ হাজার, মনোহরি ৫০ লাখ, আপ্যায়ন ব্যয় ২৮ লাখ ৭৫ হাজার, যানবাহন ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য আগাম দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে খোরাকি খাতে রয়েছে ২৫ লাখ, জ্বালানি খাতে ৮৪ লাখ, মনোহরি ৩ লাখ, আপ্যায়ন ব্যয় ২ লাখ ও যানবাহন ব্যয় ৪২ লাখ টাকা।
আনসার ও ভিডিপির জন্য বরাদ্দকৃত ১৬৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে খোরাকি বাবদ ১৪১ কোটি ৩৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা, জ্বালানী বাবদ ৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, মনোহরি দ্রব্যাদি বাবদ ৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, আপ্যায়ন ব্যয় ১২ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
খবর৭১/জি