রপ্তানির ধারা অব্যাহত থাকলে রপ্তানির পরিমাণ ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে

0
383

খবর৭১:২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দেশের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানির চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর মোট রপ্তানির পরিমাণ ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বিগত চার মাসে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং সেবা খাতের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকার কাওরান বাজারে টিসিবি অডিটোরিয়ামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ২০১৬ সালে পণ্য রপ্তানির জন্য ১৩৭ জন রপ্তানিকারক এবং ৪১ জন ব্যবসায়ী-সংগঠককে সিআইপি(রপ্তানি) ও সিআইপি(ট্রেড) কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শেষ হলে দেশে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় বাড়বে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন বিশ্ববাসীর কাছে বিস্ময়। বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। দারিদ্র্যের হার ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। নারীর কর্মসংস্থান ১৬ দশমিক ২ মিলিয়ন থেকে ২২ মিলিয়নে উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে, ২০২১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ দেশের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প এখন মানুষের কাছে দৃশ্যমান।

বাণিজ্যমন্ত্রী রপ্তানিকারকদের উদ্দেশে বলেন, রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। আপনারা এগুলো গ্রহণ করে দেশের রপ্তানি আরো বৃদ্ধি করুন। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ২০২৪ সালে পুরোপুরি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তখন এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা আর বাংলাদেশ পাবে না। প্রতিযোগিতা করে বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকতে হবে। সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here