খবর ৭১ঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সশন্ত্র ও গোয়েন্দা বাহিনীসহ সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে সশস্ত্র বাহিনীসহ সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে সব বাহিনীর উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা এমন নির্দেশনা দেন।
সহিংসতা খতিয়ে দেখতে সিইসির নির্দেশ
যেভাবে নির্বাচনে প্রচার চালাবে আওয়ামী লীগ
নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৪ সালের সহিংসতার কথা মাথায় রেখে ছক কষার নির্দেশ দেন সিইসি। তিনি বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পরদিনই দু’জন মানুষ নিহত হলো। এটা কি শুধুই রাজনৈতিক কারণ, নাকি ২০১৪ সালের পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা তা সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে।
সিইসি বলেন, আমরা সব বাহিনী, দল, সুশীল সমাজসহ সবার সঙ্গে মিটিং করেছি। নির্বাচনের আগে আপনারদের সঙ্গে আজই শেষ বড় কোনো মিটিং। আমরা ইতোমধ্যে নির্বাচনের ৯৫ শতাংশের বেশি কাজ শেষ করেছি। ভোটকেন্দ্র, ভোটার সংখ্যা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল করা হয়েছে। প্রশিক্ষণও চলছে।
তিনি বলেন, এখন ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আলোকে রূপরেখা প্রয়োজন। কেননা, তখন সশস্ত্র বাহিনীসহ সব বাহিনী ছিল। তবু দেখেছি পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, ভোটার নিহত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনেও সব বাহিনী থাকবে। সে সময়ের পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি, সে পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
সিইসি বলেন, আশা করি অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো। ২০১৪ সালের মতো যেন তাণ্ডব সৃষ্টি না হয়, সতর্ক থাকতে হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর দুটি জীবন চলে গেল, ভাংচুর হচ্ছে। এটা কি রাজৈতিক কারণ, নাকি ১৪ সালের পরিস্থতি সৃষ্টির পাঁয়তারা তা সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে।
সিইসি বলেন, এসব ঘটনায় একে অপরকে দোষ চাপানোর সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে প্রশাসন, দল এবং জনগণের সচেতন থাকা প্রয়োজন। নির্বাচনে পুলিশসহ সব বাহিনী রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে উঠিয়ে আনা সবার দায়িত্ব। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সব বাহিনীকে কাজ করতে হবে। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে হবে। আপনারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করবেন। ভোটাররা যাতে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন, তা দেখতে হবে। ১৪ সালের কথা মাথায় রেখে ছক তৈরি করতে হবে। বিনা কারণে মামলা, হয়রানি করবেন না। আরপিও অনুযায়ী এখন সিংহভাগ দায়িত্ব আপনাদের হাতে। রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের আপানাদের সমর্থন দেওয়া প্রয়োজন।
কেএম নূরুল হুদা বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে আশা করি। বৈঠকে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।