সিইসির সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে, জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

0
302

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

খবর৭১ঃমঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতে যান তিনি।

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রবার্ট মিলার।

সিইসির সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমরা বলেছি, সকল দল অবাধে নির্বাচনে অংশ নেয়ার এবং রাজনীতি করার যেন সুযোগ পায়। তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতে এবং র‌্যালি করার সুযোগ পায়। বিতর্কের মধ্যে দিয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র আরও বিকশিত হয়। গণমাধ্যম, বিরোধী দলসমূহ যেন তাদের মত ব্যক্ত করতে পারে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হোক, আর সে যেই হোক, সবাই যেন শান্তিপূর্ণ আচরণ করে। সবাই যেন সহিংসতা থেকে দূরে থাকে। কেননা, সহিংসতা গণতন্ত্রের পথে বাধা। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সহিংসতা শুধু তাদের উদ্দেশ্যপূর্ণ করে।

সহিসংতা গণতন্ত্রের পথে বাধা হিসেবে দাঁড়ায় উল্লেখ করে মিলার বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দল অথবা প্রার্থীকে সমর্থন করে না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মূল্যবোধকে সমর্থন করি।

এ সময় তিনি নির্বাচনে সবাইকে সহিংসতা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখ বাংলাদেশি (ভোটার) অংশ নেবেন। আমরা সবাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি-অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়টিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করে।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ টিমকে সহায়তা করবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট প্রাক মূল্যায়ন দল অক্টোবরে পাঠিয়েছিল এনডিআই।

পরবর্তীতে ডিসেম্বরেও একই রকম আরও একটি দল পাঠিয়েছিল। এনডিআইয়ের অংশীদার ‘দি এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইকলকশন’। তারা দু’জন আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত করেছে এবং স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ইলেকশন পর্যবেক্ষকও পাঠাবে।

সারাদেশে পৃথক পর্যববেক্ষক দল নিয়োগ করবে মার্কিন দূতাবাস। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষকের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অর্থায়ন করবে। যারা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিওজি) হয়ে কাজ করবে।

গত মাসে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঢাকায় আসেন আর্ল রবার্ট মিলার।

সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বিদায় নেয়ার আগেই দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মিলারের নাম ঘোষণা করেন।

এর পর গত ১৩ অক্টোবর মার্কিন সিনেটে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে অনুমোদন পান আর্ল রবার্ট মিলার। বাংলাদেশে আসার আগে আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মিলার।

তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে মার্কিন কনস্যুলেটে কনসাল জেনারেল ছিলেন মিলার। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ কর্মকর্তা ওয়াশিংটন, সানফ্রান্সিসকো, মিয়ামি ও বোস্টনে কাজ করেছেন।

এ ছাড়া ভারত, ইরাক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও এল সালভাদরের মার্কিন দূতাবাসে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন মিলার।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here