জাহিরুল ইসলাম মিলন,যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শার নাভারন এলাকায় অর্থনৈতিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা নাভারন উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে কাজীরবেড় গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে সিএন্ডএফ কর্মচারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিএন্ডএফ কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বেনাপোলের পোড়াবাড়ী নারায়নপুর গ্রামের আব্দুর জব্বার তরফদারের ছেলে এবং সেজুতি এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার। এলাকাবাসী জানান, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বিদেশ যাওয়ার জন্য ৪ লাখ টাকা দেয় ঝড়ু দালালের স্ত্রী বিউটি খাতুনকে। পরে বিদেশ না পাঠিয়ে তাল-বাহনা শুরু করে। এ ঘটনায় সর্বশেষ বুধবার রাতে টাকা দেওয়ার কথা বলে বাসাবাড়ীতে ডেকে নেয় জাহিদকে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিউটি যশোর থেকে ৪জন ভাড়াটে কিলার এনে বাসায় সাউন্ডবক্সে গানবাজনা শুনতে থাকে। পরে জাহিদকে বাথরুমে নিয়ে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশটি বস্তাবন্দী করে পাশের একটি কলাবাগানে ফেলে দেয়। জাহিদের বাড়ীর লোকজন খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বিউটির বাসায় এসে জানতে চাইলে লাইট অফ করে দিয়ে বলে জাহিদ আসেনি। ঘটনাটি সন্দেহ হলে শার্শা থানা পুলিশকে অবহিত করে। থানা পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে তাকে খুন করা হয়েছে। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। এ খুনের ঘটনায় শার্শা থানা পুলিশ জড়িত থাকার অপরাধে ৬ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হল ঝড়–ও স্ত্রী বিউটি খাতুন (৪৭), মেয়ে সুমী খাতুন (২৯), মুক্তার আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম (৬৫), খালিদের স্ত্রী ফেরদৌসী (৩৭) ও ছেলে আল-আমিন (১৮)। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ খুনের আলামত উদ্ধার করেছে। শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম মশিউর রহমান বলেন, প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি তারা ভাড়াতে কিলার দ্বারা সিএন্ডএফ কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এব্যাপারে ৬ জনকে আটক করেছি এবং অন্যান্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।